পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 4२० } স্থবিরের উপদেশ চিন্তা করিতে লাগিলেন। এমন সময়ে তিষ্যরক্ষা নাম্নী রাজপত্নী তাহাকে দেখিতে পাইলেন। ২২ । যুবতী বিমান্ত। তিষ্যরক্ষা প্রেমরসে আর্দ্রচিত্ত হইয়া পূর্ণচন্দ্রের স্যায় সুন্দর, আয়ত-লোচন, পীনস্কন্ধ ও আজানুলম্বিতবাহু কুমারের নিকটে আসিয়া বলিল । ২৩ । কুমার ! সংসারের সারভূত তোমার নয়নকান্তি এখন প্রস্ফুটিত পুষ্পগণমধ্যে অবতীর্ণ হইয়াছে । ইহা কাহার না ধৈর্য্য হরণ করে ? বিশেষতঃ তোমার এই স্ব ন্দর বেশ অত্যন্ত ধৈৰ্মাহারী হইতেছে। ২৪ । তিয্যরক্ষা এই কথা বলিয়া লজ্জ ত্যাগ পূর্বক সহসা ভূজদ্বয়দ্বারা কুমারকে দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গন করিল। তখন কম্পবশতঃ মুখরিত আভরণের শব্দ হওয়ায় বোধ হইতেছিল যে, তাহার নিজ আভরণগুলিও তাহাকে এরূপ কাৰ্য্য হইতে নিবারণ করিতেছিল। ২৫ । ইনি বিমাতা হইলেও নিজ মাত্র র স্যায় সতত বাৎসল্য প্রকাশ করেন, এই ভাবিয়া কুণাল নিঃশঙ্কাচত্তে বিমাতার পদপ্রান্তে নতশির হইলেন। ২৬। মদমত্ত ও কন্দপ-বিকারে ক্ষুব্ধ অঙ্গনাগণের যখন মোহ উদয় হয়, তখন নদীর স্যায় উহাদেরও গৰ্ত্তে পতনের কোনরূপে নিরোধ করা যায় না । ২৭ । মদনাভিভূত তিয্যরক্ষা মানসিক আবেগবশতঃ বিশৃঙ্খলবৎ হইয় কুমারকে বলিল। তখন শুচিশীলতা যেন পাপকাৰ্য্যে কলঙ্ক-ভয়ে তাহাকে ত্যাগ করিয়া গেল । ২৮ । কুমার ! তুমি আমার সমবয়স্ক ও প্রিয়পাত্র। আমি তোমার বিমাতা, মাত নহি । তোমার আলিঙ্গনের যোগ্য আমার এই তনু অদ্য সৌভাগ্যরূপ ভোগ্য বস্তু লাভ করুক। ২৯। নারীগণকেই সকলে প্রার্থনা করে, কিন্তু আমি স্বয়ং তোমাকে