পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬৭ ] পিতার যৌবরাজ্যাভিলাষের সহিত বালকটি ক্রমে বৰ্দ্ধিত হইতে লাগিল । ২৬ ৷ কুমারের জন্মদিনেই তাহার পঞ্চশত অমাত্যগণও কুমারের তুল্যরূপ পঞ্চশত পুত্র লাভ করিলেন। ২৭। জাতিস্মর কুমার শিশুকালেই নিজ পূর্ববৃত্তান্ত স্মরণ করিয়া নিজের হিতকর ও সমুচিত পুণ্যবিষয়ে চিন্তা করিতেন। ২৮। পুরাকালে আমি ষষ্টিবৰ্ষকাল যৌবরাজ্য করিয়া বহুদিন নরকসঙ্কটে কষ্ট প্রাপ্ত হইয়াছি । ২৯ । এই জন্মেও আমার পুনর্নবার যৌবরাজ্য উপস্থিত হইয়াছে। আমাকে অনুরোধ করিলেও আমি কখনই এ পাপকাৰ্য্য করিব না। ৩০ । কুমার এইরূপ চিন্তা করিয়া রাজ্যভোগে পরায়ুখ হইয় পিতার উদ্বেগজনক মূক ও পঙ্গু ভাব গ্রহণ করিলেন । ৩১ । তখন তিনি সকল প্রকার সুলক্ষণযুক্ত হইয়াও রাজ্যলাভের অযোগ্য হওয়ায় বন্ধুজনের দুঃখজনক মূক পঙ্গু নামে খ্যাত হইলেন। ৩২। মন্ত্রিপুত্ৰগণ সকলেই শস্ত্র ও শাস্ত্রবিদ্যায় উন্নতিলাভ করিলেন,কিন্তু রাজপুত্ৰ বৰ্দ্ধিত হইয়াও উঠতেন না এবং কথাও কহিতেন না। ৩৩। তৎপরে রাজা বৈদ্যগণকে কুমারের রোগের ঔষধের কথা জিজ্ঞাসা করিলে, তাহারা বলিলেন, হে রাজন! রাজপুত্রের কোনরূপ বিকলতা দেখিতে পাওয়া যায় না । ৩৪ ৷ যদ্যপি অভ্যাসবশতঃ সুখসেবী কুমারের এরূপ দোষ হইয়া থাকে, তাহা হইলে ভয় ও সংবেগদ্বারা ইনি উঠিবেন ও কথা কহিবেন । ৩৫। রাজা বৈদ্য-কথিত এই কথা অনুমোদন করিয়া মিথ্যা ভয় দেখাইবার জন্য পুত্রকে বধ্যভূমিতে পাঠাইলেন। ৩৬ । কুমার বধকারী পুরুষগণ কর্তৃক ভৎসিত হইয়া রথস্থ রাজাকে বলিলেন,—এই বারাণসীতে কোন লোক বাস করে না कि ? । ७१ ।।