পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু কাহিনী। SS পিতৃ নাম ভিন্ন জাতি-সূচক নাম কিম্বা মৰ্যাদা-সূচক কোন উপাধি দৃষ্ট হয় না । বঙ্গ-বাসীদের মধ্যে যেমন বন্দ্য, চট্ট, মিত্ৰ, দাস প্রভৃতি জাতি-সূচক নাম ব্যবহৃত হয়, এখানে সেরূপ নিয়ম নাই। তবে মহারাষ্ট্রীয়দের মধ্যে অনেকেরই কুল-পদবী থাকে-যথা গোড়বোলে (মিষ্ট ভাষী) কড়াকড়ে, জোসী মুনসি, তাৰ্থভূকর ইত্যাদি। ইহা অপরিবর্তনশীল বংশগত নাম। গুজরাটে ‘জী” ও “ভাই’ শব্দান্ত নামই অধিক প্রচলিত, কায়স্থ ও বণিকদের মধ্যে দেবতার নামের শেষে দাস শবদ সংযুক্ত করিবার রীতি আছে, যেমন জগজীবন দাস, লক্ষণ দাস, নরোত্তম দাস ইত্যাদি ৷ এক প্রদেশে রণছোড় নামক এক * বিরু স্বভাব দেবতা আছে, অনেকে সেই নাম ধারণ করেন । একজন নব্য সম্প্রদায়ের গুজরাটী কায়স্থ, ঐ নামের উপর চটিয়া আপনার পুত্রের নাম ‘রণজিৎ রাখিয়াছেন, ইহা উন্নতির লক্ষণ বলিতে হইবে। মহারাষ্ট্র দেশে বিঠোবা-নামক দেবতাবিশেষ প্ৰসিদ্ধ আছে, এই হেতু মহারাষ্ট্রীদের মধ্যে “বিঠোবা।” “বিঠল রাও” অনেকের এই নাম শ্রুত হওয়া যায়। স্ত্রীলোকের নাম দেবী ও অধিকাংশ নদী হইতে গৃহীত হয় ; যথা, পার্বতী, লক্ষী, উমা, দুৰ্গা, রেবা, যমুনা। সীতা চিরদুঃখিনী বলিয়া কন্যার ঐ নাম রাখিতে বঙ্গবাসীরা যেরূপ কুষ্ঠিত, এখানে সেরূপ ভাব দেখা যায় না । সীতা, জানকী প্রভৃতি নাম এখানে অত্যন্ত প্ৰচলিত। এতদ্ভিন্ন পুষ্প কিম্বা স্বর্ণ মাণিক্য হইতে কন্যার নাম প্রদত্ত হয় । মোতী, সোনু, জহর,