পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SR o di বোম্বাই চিত্ৰ । বহুদৰ্শী, মুন্সেফ হয়ত অপক্ষপাতে বিচার করিয়া দিবেন। — পঞ্চায়তের পক্ষপাত-দোষ ঘটিবার সম্ভাবনা । এই ক্ষণে এই দুই কোর্ট পৃথক পৃথক কাৰ্য্য করিতেছে বলিয়া তাহারা তাদৃশ ফলোপধ্যায়ী হয় না, কিন্তু তাহারা সম্মিলিত হইলে তাহদের পরস্পরের দোষ খণ্ডন ও উপকারিতা বৰ্দ্ধন প্ৰত্যাশা করা যাইতে পারে। এই রূপে উভয় কোর্টে মিলিয়া কাৰ্য্য করা আমাদের প্রাচীন প্রথার অনুযায়ী, পূর্বে মহারাষ্ট্র দেশে বাদী প্ৰতিবাদী প্ৰথমে পঞ্চায়তের নিকটে যাইয়া আপনাদের বিবাদ ভঞ্জনের জন্য আবেদন করিত-সে। বিচার মনের মত না হইলে অসন্তুষ্ট পক্ষ রাজকৰ্ম্মচারী ন্যায়াধীশের শরণাপন্ন হইত। এখনো কতকটা এই নিয়ম প্ৰবৰ্ত্তিত হইতে পারে। প্ৰত্যেক বড় বড় গ্রামে ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পল্লী সমূহে এক একটী পঞ্চায়ত কোর্ট স্থাপিত হউক। তঁহাদের নিকট প্রথমতঃ সামান্য ঋণ-সম্বন্ধীয় মকদ্দমার বিচার হইবে । তঁহার যতগুলি মকদ্দমা আপসে মিট মাটি করিয়া দিতে পারেন তাহ সাধ্যমত করিয়া দিবেনঅবশিষ্ট গুলি যাহা সহজে নিম্পত্তি হওয়া দুষ্কর তাহা মুন্সোফের বিচারালয়ে আনীত হইবে। মুন্সফ। কোর্ট এক স্থানে আবদ্ধ থাকিবে না।—মুন্সফ গ্রামে গ্রামে সরকিট ভ্ৰমণ করিয়া বিচারকাৰ্য্য নির্বাহ করিবেন। যে গ্রামে পঞ্চায়ত কোর্ট প্রতিষ্ঠিত, তথায় উপস্থিত হইলে তিনি পঞ্চায়তের মতে তাহার সভাপতি হইয়া বিচারাসনে বসিবেন ও তাহদের সাহায্যে গুরুতর মকদমা সকলের নিস্পত্তি করিবেন। যাহাতে অর্থী প্ৰত্যার্থী পঞ্চা