পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rb7 R cवांचांई एि। করা সেই দিকেই সহরের এক সুমহান অপূর্ব দৃশ্য আবিষ্কৃত হয়। বিজাপুরের প্রাচীর, বুরুজ, ইমারতমালার ভগ্নাবশেষ দৃষ্টে ইহা এক সুবিস্তীর্ণ জনাকীর্ণ নগর বলিয়া সহসা ভ্ৰান্তি জন্মে। অন্তরে প্রবেশ করিলে সে ভ্রম দূর হয়। সহরের বসতি গুলি কেমন খাপছাড়া ও গুটি কত প্ৰাচীন ইমারত ছাড়িয়া দিলে দেখিবার জিনিশ কিছুই নাই। প্ৰাচীন ও নব্য সহরে আকাশ পাতাল প্ৰভেদ । সহরের বসতির ঠিকানার বাড়ীঘর গুলি অন্যান্য প্রাচীন কীৰ্ত্তিস্তম্ভের তুলনায় কি দীন হীন যৎসামান্য রূপে প্ৰতীয়মান হয় ! আধুনিক ঘরবসতি পশ্চিম দ্বারের সন্নিহিত । পশ্চিম লোকালয় ছাড়াইয়া গেলে অন্তরের ভগ্ন-বিজনতা স্পষ্ট ফুটিয়া উঠিয়া চিত্তকে ঘনবিষাদে পূর্ণ করে। নগরের মধ্য ভাগে দোধারী বৃক্ষশ্রেণীর মধ্য দিয়া যে রাজপথ গিয়াছে তাহা পথিককে মধ্য দুৰ্গে লইয়া যায়। এই দুর্গের নাম “আর্ক কেল্লা” । ইহা গোলাকৃতি ও ইহার আর্ক কেল্লা বেষ্টন প্ৰায় ১ মাইল হইবে। আর্ককেল্লায় যত বড় বড় সাহেব সুবার বাসগৃহ, গবৰ্ণমেণ্টের কাৰ্য্যালয় প্রভৃতি সাৰ্বজনিক ইমারত শ্রেণী । কেল্লার মধ্যগত “সাত মজলী” প্রাসাদ, “আনন্দ মহল,” “গগণ মহল,” বাহিরে “আসার মহল,” “মালিক জাহান” মসজিদ ও আলি আদিল সার অসম্পূর্ণ সমাধিমন্দির মিলিয়া যে সুন্দর সৌধমালা উল্মীলিত হয় তাহা বিজাপুরের প্রাচীন কীৰ্ত্তি-স্মৃতিতে পূর্ণ। এই পূর্ব গৌরবের কঙ্কাল সকল সহর্যময় বিক্ষিপ্ত দেখা যায় । কোথাও বী