পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিংহলে ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত । (ፅ (9)(፩ গল্পে ইহাদেরও বোধ হয়। সেই প্রকার বিশ্বাস থাকিবে । ইহাদের উপাসনা-পদ্ধতিতে বাহিরের আড়ম্বরই অধিক, কিন্তু ভক্তিভাব অল্পই দেখিলাম । ১৫ কাৰ্ত্তিক, সোমবার। প্ৰাতে মান্দ্ৰাজে আসিয়া উপস্থিত হইলাম। এখান হইতে মান্দ্রাজের বড়ই আশ্চৰ্য্য শোভা ! সমুদ্র-তীরে অট্টালিকাশ্রেণী বিরাজ করিতেছে। আমারদের নৌকা গোলমালের আলয় হইয়াছে। ইহার কোন স্থানে বিপণী বসিয়াছে, কোন স্থানে বাজীকরেরা ইউরোপীয় দেবীদিগের নিকটে আপনাদের চতুৰ্য্য প্ৰকাশ করিতেছে। কত মান্দ্রাজি নৌকা বাস্পপোতের কাছে আসিয়া গোলমাল করিতেছে। সমুদ্র-তরঙ্গে সেই সকল নৌকা যেরূপ আন্দোলিত হইতেছে, তাহাতে নামিতেই ভয় হয়। এই সকল নৌকার কাষ্ঠ প্রেকের দ্বারা বদ্ধ নহে, কিন্তু বেত্ৰ-রজুতে বদ্ধ রহিয়াছে। এক একখানা ক্ষুদ্র তরী সমুদ্রকীটের ন্যায়। ভাসিয়া যাইতেছে, তাহার উপরে জল উঠিতেছে, তবুও ডুবিয়া যায় না। বড় বড় দুই কাষ্ঠ বেত্রের রাজুতে একত্রে বাধা-সমুদ্র-তরঙ্গ তাহার কিছুই করিতে পারে না । মান্দ্ৰাজকে এখান হইতে দেখিয়া বোধ হয় যে এমন পুরী কোথাও নাই। কিন্তু শুনিলাম, সেখানকার গলি সঙ্কীর্ণ, বসতি বিস্তর, আর লোকজনের অবস্থাও বড় ভাল নয়—আমাদের অট্টালিকাময় পুরী কলিকাতা অপেক্ষা ইহা অনেক অংশে নিকৃষ্ট । *ীমরা যে দিনে সমুদ্রের কোল হইতে গালপুরীর শোভা