পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s . . cबाश्वाछे ऽिद्ध । করিয়াছেন। ধৰ্ম্মের উপর, সমাজের রীতিনীতির উপর তঁাহারা হস্তক্ষেপে বিরত। বুদ্ধি ও চিন্তা-শক্তির উপর কোন শৃঙ্খল নাই। এ রাজ্যে বাস করিয়া মন খুলিয়া আপনাদের সুখ দুঃখ প্ৰকাশ করিতে পারিতেছি। সর্বসাধারণের হিতজনক রাজনিয়ম-প্রভাবে প্রত্যেকে আপন মনের স্ফৰ্ত্তিতে স্বচ্ছন্দে ইচ্ছামত কাৰ্য্য করিতে ও জগতের হিতসাধনে নিযুক্ত হইতে পারিতেছি। আর কি চাও ? এত উপকার প্ৰাপ্ত হইয়াও তোমরা ইংরাজ-রাজ্যের বিপক্ষে লেখনী চালনা করিতে ক্ষান্ত নহ ? আর ইহাও যে করিতে পার সে কেবল ইংরাজ রাজ্যের অনুগ্ৰহে, তাহারা মনে করিলে মুহুর্তের মধ্যে সমস্ত দেশীয় সংবাদপত্রের মুখ-বন্ধ করিয়া দিতে পারেন। অতএব এই সকল উপকার স্মরণ করিয়া আমাদের রাজপুরুষদের প্রতি झङख्छ श्७श्ना लेफ्रिङ ।” আমার অপর বন্ধু উত্তর করিলেন- “এই সকল যুক্তি আমাদের হৃদয়ঙ্গম হয়। না। বিদেশীয় রাজার প্রতি রাজ-ভক্তি উদয় হওয়া সহজ নহে। তবে যদি Wর্তাহারা স্বদেশীয় রাজার ন্যায়। পিতৃ-ভাবে শাসন করেন, তবেই তাহা সম্ভব, নচেৎ নয়। দেখ এই বিদেশীয়দিগের দ্বারা ভারতের যথাসৰ্ব্বস্ব অপহৃত হইতেছে কি না। বিলাতে এক গবৰ্ণমেণ্ট-এদেশে এক গবৰ্ণমেণ্ট-ওদিকে মন্ত্রী দল-পরিাবেষ্টিত সেক্রেটরি অফুষ্টেটু, এদিকে রাজপ্ৰতিনিধি গবর্ণর জেনেরাল, গবৰ্ণর, লেফটনেণ্ট গবর্ণর, কমিসনার প্রভৃতি অধিপতিগণ আমাদের দেশ হইতে কত কোটি কোটি টাকা লুটিয়া লইতেছেন। বিদেশীয় সৈন্য-রক্ষার জন্য কত ব্যয় হইতেছে। রাজপুরুষদের ধৰ্ম্মযাজকগণ “হীদেন” প্রজা-নিষ্পীড়িত ধনকোষ হইতে অবাধে অর্থ সংগ্ৰহ করিতে কিছুই মনে করেন না। কত দিক দিয়া ভারতের রক্ত শোষণ হইতেছে তাহার ঠিকানা নাই। পিণ্ডারীদের উপদ্রব নাই সত্য বটে। কিন্তু প্ৰজাগণের দারিদ্র্য-নিবন্ধন কষ্ট তেমনি প্রবল। কত প্ৰকার রাজস্বের সৃষ্টি হইতেছে তাহার সীমা নাই। আমাদের উপর যে ভুরি ভুরি আইন বর্ষণ হইতেছে তাহাতে আমাদের বাস্তবিক উপকার কি অপকার তাহা নির্ণয় করা সুকঠিন। সর্বত্রই শুনা যায় যে, পূর্বে আমাদের পরস্পর-ব্যবহারে যে সত্য ও সরলতা ছিল তাই।