পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিন্ধু কাহিনী। * 》 মহা হুলস্থূল বাধিয়া যায়। প্ৰায়শ্চিত্ত করিয়াও শেষে তিনি পার। পাইলেন না । তঁর জাতি দুই দলে বিভক্ত হইল, এক দল তাহার পক্ষ এক দল বিপক্ষ । কিন্তু এ অনেক দিনের কথা । এক্ষণে জিজ্ঞাস্য এই, ২০, ২৫ বৎসরের মধ্যে কি এ সম্বন্ধে কিছুই উন্নতি হয় নাই ? এখনো কি জাতির এমন কঠোর শাসন যে তাহার ভয়ে আপনার মত ও বিশ্বাস জলাঞ্জলি দিতে হইবে ? কোন হিন্দুর কি এতটুকু সাহস নাই যে আপনি যাহা সত্য বলিয়া জানেন, যাহা কৰ্ত্তব্য জ্ঞান করেন, তাহা অকুতোভয়ে অবলম্বন করিতে পারেন—আপনার আন্তরিক বিশ্বাস অনুষ্ঠানে পরিণত করিতে পারেন ? বহুরূপীর মত একবার ইউরোপীয় সভ্যতার সং সাজিয়া নৃত্য করা আবার তাহ পাপ বলিয়া ফেলিয়া দেওয়া এই কি সত্য-নিষ্ঠ সাহসী পুরুষের কাৰ্য্য। জাতিভেদের ন্যায় বাল্যবিবাহ আর চির-বৈধব্য-প্ৰথা হিন্দু সমাজের কলঙ্ক স্বরূপ নির্দেশ করা যাইতে পারে। কিন্তু চিরবৈধব্য-প্ৰথা যে এখনকার সমস্ত হিন্দু-জাতির মধ্যে প্ৰচলিত তাহা নহে। এমন অনেক জাতি আছে যাহার মধ্যে বিধবাবিবাহ নিষিদ্ধ নহে। ব্ৰাহ্মণ ও ব্ৰাহ্মণদের দৃষ্টান্তে যাহার চলন সেই সকল জাতির মধ্যেই এই প্ৰথা দৃষ্ট হয় । এই প্রথার আনুষঙ্গিক এক ভয়ানক কুৎসিত নিয়ম আবহমান কাল চলিয়া আসিতেছে- সে কি না বিধবার মস্তক মুণ্ডন। আমাদের বিধবাদের অনেকগুলি নিয়ম পালন করিতে হয়—উপবাস, একসন্ধ্য আহার, অলঙ্কার পরিহার, কিন্তু ভাগ্যক্রমে শিরো SS