পাতা:বোম্বাই চিত্র - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 cवांचाई ष्मि। থাকিতে এইরূপ মকদ্দমা মাঝে মাঝে আমার কাছে আসিত । আসামীর বক্তব্য এই-এ আমাদের চিরন্তন প্ৰথা-মেয়েকে আমাদের কুলধৰ্ম্মে দীক্ষিত করাতে দোষ কি ? কিন্তু দেশাচার কুলাচার সত্ত্বেও আইনের অনুশাসন এই যে আপ্রৌঢ় বালিকার উপর এরূপ অত্যাচার দণ্ডণীয়। আইন যদি এস্থলে দেশচারের উপর হস্তক্ষেপ করিতে পারিল তাহা হইলে অজ্ঞান বালিকার হিতসাধন উদ্দেশে কি আরো কতকাদূর অগ্রসর হইতে পারে না ? আমরা অনেক সময় দেখিতে পাই পিতা আপন অল্পবয়স্ক কন্যাকে পঞ্চ সতীনের ঘরে বিসৰ্জন দিয়া তাহাকে চির জীবনের মত অসুখী করিতেছেন, অর্থলোভে আপনার অষ্টমবর্ষীয় দুহিতাকে পালিতকেশ বৃদ্ধ বরের হস্তে অকাতরে সমর্পণ করিতেছেন ইত্যাদি,-এরূপ স্থলে কি রাজদণ্ড হস্ত উত্তোলন করিবে না ? বাল্য বিবাহ হইতে যে সকল মহা অনিষ্ট উদ্ভূত হইতেছে তাহা নিবারণের জন্য সমাজ যখন নিশ্চেষ্ট অথবা সমাজ যখন আপনার মস্তক আপনি ছেদন করিতে উদ্যত তখন আমার বিবেচনায় রাজ-নিয়মই তাহার উদ্ধারের একমাত্ৰ উপায়। আমি বিবাহ সম্বন্ধে দুইটি মূলতত্ত্ব স্থির করিয়াছি, আমার মতে তাহা অখণ্ডনীয় ও সর্ববাদীসম্মত বলা যাইতে পারে। প্ৰথম এই যে, দম্পতী যোগ্য বয়সে জানিয়া শুনিয়া ইচ্ছাপূর্বক বিবাহ করিবে । s দ্বিতীয়, স্ত্রী পুত্র ভরণ পোষণের সামৰ্থ্য বুঝিয়া পুরুষ দারপরিগ্ৰহ করিবে ।