পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম Y [ার গুরু ; তঁহার মুখে আমি যে উপদেশ শ্রবণ করিয়াছি, ম। তাহাতেই অনুরক্ত থাকিব।” বৈশালীর সভাও এই দলি হইতে উৎপন্ন। কতকগুলি ভিক্ষু সজ্ঞানিয়মেব রতা নিবারণ জন্য কোন কোন নিয়মের পরিবর্তন হয়, এইরূপ অভিপ্ৰায় প্ৰকাশ করেন। তাহার এইরূপ দশটি নিয়ম নির্দেশ করেন-অশন বসন সম্বন্ধে কতকগুলি ছোটখাট নিয়ম, তাছাড়া সোনারূপা গ্রহণের যে নিষেধ ছিল, তাহা, দূরীকরণ। এই সকল বিষয়ে অনেক তর্কবিতর্কের পর নবীন মত অগ্ৰাহ্যু হইয়া সঙ্ঘের প্রাচীনপন্থীদের মৰ্য্যাদাই রক্ষিত হইল। তথাপি প্ৰতিপক্ষীয়েরা সন্তুষ্ট হইলেন না । তঁহারাও স্বপক্ষ হইতে এক সভা করিলেন- এই সভা ‘মহাসঙ্গীতি’ বলিয়া অভিহিত । এই বিপক্ষ দলের প্রতি কটাক্ষা করিয়া দীপবংশ বলেন-“ইহারা ধৰ্ম্মনিষ্ট করিতে ও শাস্ত্র উল্টাইতে চায়বুদ্ধের উপদেশের নূতন অর্থ করিয়া স্বমত সমর্থন করে—সূত্র বিনয় ও পরিবার পাঠ, অভিধৰ্ম্ম, নিদেশ, জাতিক প্ৰভৃতি একদিকে ফেলিয়া দিয়া নিজেদের মনগড়া শাস্ত্ৰ পৰ্য্যন্ত প্ৰস্তুত করিতে উদ্যত ।” বৌদ্ধধৰ্ম্ম প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে এই মতভেদ দিলাদলি আরো বাড়িয়া উঠিল-ক্ৰমে বৌদ্ধের অষ্টাদশ সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়া পড়িল--তাহাদের গুরুও ভিন্ন ভিন্ন । এই কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রতিকূলে বুদ্ধের উপর ভক্তি শ্রদ্ধা, বৌদ্ধশাস্ত্ৰে আস্থা, ধৰ্ম্মবন্ধনে সাধারণ অনুরাগ ও উৎসাহ-এ ख्छिझ खाद्र Cकाका अद्धिक छिव्न ना । (ভারতে বৌদ্ধ সজঘ নিৰ্ম্মল হইবার এক কারণ মনে হয়। সঙ্ঘের এই প্ৰকৃতিগত দুর্বলত: ;