পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>之令 বৌদ্ধধৰ্ম্ম । বুদ্ধের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে, মধুর সূত্তে, কাত্যায়ন এবং মধুর রাজ, এই উভয়ের প্রশ্নোত্তর কথোপকথন আছে। মধুর রাজ বলিতেছেন, “ব্ৰিাহ্মণগণ বলেন, তাহারা সকল জাতি অপেক্ষা শ্ৰেষ্ঠ, একমাত্ৰ ব্ৰাহ্মণগণই সাদা অন্য সকলেই কালা, তাহারাই শুদ্ধ, অপর সকল জাতিই অপরিশুদ্ধ, ব্ৰাহ্মণের সৃষ্টিকৰ্ত্তার মুখ হইতে জন্ম লাভ করিয়াছেন এবং তঁহার গৌরবের উত্তরাধিকারী-এ সম্বন্ধে আপনার বক্তব্য কি ?” উত্তরে কাত্যায়ন বলিলেন, সাধারণ জীবনক্ষেত্রে আমরা সর্বদাই দেখিতে পাই, ঐশ্বৰ্য্যবান ব্যক্তি সকল বর্ণের দ্বারাই সম্মানিত ; এক্ষেত্রে “দ্বিজ” কোন বিশেষ গৌরব প্ৰাপ্ত হয়েন না । দ্বিতীয়তঃ-বৰ্ণ নির্বিশেষে মনুষ্য মাত্ৰেই সদসৎকৰ্ম্ম অনুসারে উচ্চ নীচ জন্ম গ্ৰহণ করে । তৃতীয়তঃ-টাের দস্য প্রভৃতি অপরাধীগণ যে-কোন বর্ণেরই ৷ হৌক না কেন, দুস্কৃতির জন্য যোগ্য শাস্তি ভোগ করে। পরিশেষে ধৰ্ম্ম সঙ্ঘভুক্ত যে কোন বর্ণেরই সাধু কি সন্ন্যাসী হউন না কেন, সাধারণের নিকট হইতে সমান শ্রদ্ধা ও সম্মান লাভ করিয়া थtदन । এই জাতিভেদ প্ৰথা সম্বন্ধে বুদ্ধদেব স্বীয় মতামত যাহা ব্যক্তি করিতেন তাহা জনসাধারণে গৃহীত হইয়া সফলপ্ৰায় হইয়াছিল দেখিতে পাওয়া যায়। যদি তঁাহার সেই মত ভারতবাসীদের, মধ্যে প্ৰতিষ্ঠা লাভ করিত, তাহা হইলে ভারতের সমাজ-নীতি পাশ্চাত্য আদর্শে গঠিত হইয়া উঠিত সন্দেহ নাই, এবং এই দেশের আধুনিক জাতিভেদ-প্ৰথা আর মাথা তুলিতে পারিত না।