পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Adé বৌদ্ধধৰ্ম্ম । সময়ে ক্ষেমা রাণীর দীক্ষা হয় । তিনি অপরূপ রূপ লাবণ্য গর্কের্য গর্বিত হইয়া বুদ্ধদেবের দর্শন লাভ কখন মনেও স্থান দেন নাই। একদিন দৈবক্রমে তিনি বেণুবনে বেড়াইতে বেড়াইতে বুদ্ধের আশ্রমের নিকট গিয়া উপস্থিত হন। বুদ্ধদেব দিব্যজ্ঞানে তাহার মনোভাব বুঝিতে পারিয়া তঁহার গর্ব খর্ব করিবার মানসে মায়াবলে স্বৰ্গ হইতে এক পরম সুন্দরী অপসরা আনিয়া তঁহার সম্মুখে ধরিলেন – রাণী তাহার প্রতি এক দৃষ্টে চাহিয়া রহিলেন। দেখিতে দেখিতে সেই রমণী যৌবন, বাৰ্দ্ধক্য, জরা একে একে অতিক্ৰম করিয়া মৃত্যুর দ্বারে আসিয়া পৌছিল। এই দৃশ্য দেখিয়া ক্ষেমার মনে বৈরাগ্যের সঞ্চার হয় ও গুরুমন্ত্র গ্রহণের জন্য র্তাহার মানসক্ষেত্ৰ প্ৰস্তুত হয়। ঐ অবসরে ভগবান বুদ্ধ কতিপয় মন্ত্রোচ্চারণ পূর্বক তাহার কানে যেন মধু বর্ষণ করিয়া দিলেন। অতঃপর তথ্যগতের সদুপদেশ শ্রবণে ক্ষেমা ংসার ত্যাগ করিয়া স্বামীর অনুমতি গ্ৰহণ পূর্বক ভিক্ষুণী সম্প্রদায়ে প্রবিষ্ট হন এবং অচিরাৎ অৰ্হৎ পদবী অৰ্জন করেন। তিনি তথ্যাগতেৰ অগ্রশ্ৰাবিক মধ্যে পরিগণিত হইয়া সর্বদা তঁহার দক্ষিণ পার্শ্বে স্থান পাইতেন। এই হেতু তঁহাকে “দক্ষিণ হস্ত”। শ্রাবিক বলিত । * উৎপলবণা।-- উৎপলবর্ণা কোন এক ধনবান গৃহপতির কন্যা ছিলেন—এই প্রসঙ্গে তাহার নামোল্লেখ করা যাইতে পারে। এই কন্যাটী রূপে গুণে অদ্বিতীয় ছিলেন। তঁহার পাণিগ্রহণের প্রার্থীরও অভাব ছিল না। তাঁহার পিতা মনে মনে ভাবিলেন,--যদি ইহাকে