পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । -“እዋS»- কোন রাজা বা যুবরাজের সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হয়, তাহা হইলে তঁহার শত্রুসংখ্যা বৃদ্ধি পাইবে, প্রার্থীদের মধ্যেও দ্বন্দ্ব বাধিয়া যাইবে। এই ভাবিয়া তিনি তাহাকে চিরকুমারী রাখিতে কৃতসঙ্কল্প হইয়া বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত করাইলেন। এই কুমারী স্বীয় তপস্যার প্রভাবে অচিরাৎ অৰ্হৎ পদ লাভ করিলেন। উৎপলবর্ণা বুদ্ধের এক অগ্রশ্ৰাবিক। ইনি সর্বদাই গুরুদেবের বামপাশ্বে বসিতেন বলিয়া, “বামহস্ত’ শ্রাবিক নামে অভিহিত হইতেন । থেরীগাথায় নিম্নলিখিত থোরীগণের নামোল্লেখ আছে :- পূর্ণা, ভিস্যা, ধীরা, মিত্ৰা, ভদ্রা, উপশমা, মুক্তা, ধৰ্ম্মদণ্ড, বিশাখা, সুমন, উত্তরা, ধৰ্ম্মা, সঙ্ঘা, জয়ন্তী, আঢাকাশী, চিত্রা, মৈত্রিকা, অভয়া, শ্যামা, উত্তম, দন্তিকা, শুক্লা, শেলা, সোমা, কপিলা, বিমলা, সিংহ, নন্দা, মিত্রকালী, বকুল, সোনা. চন্দ্ৰ, পটাচারা, বশিষ্ট, ক্ষেমা, সুজাতা, অনুপমা, মহাপ্ৰজাপতি, গৌতমী, গুপ্ত, বিজয়া, চালা, বৃদ্ধিমাতা, কৃশাগোতিমী, উৎপলবর্ণা, পূর্ণিমা, অস্বীপালী, রোহিনী, চম্পা, সুন্দরী, শুভা, ঋষিদাসী, সুমেধা ইত্যাদি । সূত্রপিটকে থেরাগিাথা ও থেরািগাথা নামক দুইখানি গাথা ংগ্ৰহ পুস্তক আছে, তাহদের ভাষ্যে রচয়িত রচয়িত্রীদের নাম ও জীবনকাহিনী বণিত হইয়াছে । তাহা হইতে দেখা যায় যে, অনেকানেক স্থবির তপস্বিনী গৌতমের জীবদ্দশায় থেৱীগৈাথা রচনা করেন। অনেকগুলি গাথা অতি সুন্দর, ও লেখিকার সুবুদ্ধি এবং ধৰ্ম্মশীলতার পরিচয় প্রদান করে। এই