পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । বৌদ্ধ ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ । শাক্যসিংহ কোন লিখিত গ্ৰন্থ রাখিয়া যান নাই ; বৌদ্ধশাস্ত্ৰজ্ঞ পণ্ডিতেরা বলেন যে ভঁাহার কথাবাৰ্ত্তা উপদেশ নিয়মাদি শ্রুতিপরম্পরায় শিষ্যমুখে দীর্ঘকাল জীবিত থাকে, পরে কোন সময়ে গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হয়। বুদ্ধের মরণোত্তর বৌদ্ধদের চারিটি মহাসভার উল্লেখ করা গিয়াছে, এই স্থলে তাহার পুনরাবৃত্তি করা যাইতে পারে। বুদ্ধদেবের মৃত্যুর কিছু গারেই মহাকাশ্যপের মন্ত্রণায় রাজা অজাতশত্রুর আশ্রয়ে রাজগৃহে সপ্তপণী গুহায় প্ৰথম সভার অধিবেশন হয়। উহার এক শতাব্দী পরে কালাশোক, তৎপরে অশোক রাজা, এবং খৃস্টপূর্ব ১৪৩ শতাব্দে কাশ্মীরের শকজাতীয় রাজা কণিষ্ক যথাক্রমে বৈশালী, পাটলিপুত্র ও জালন্ধরে এক একটি সভা করেন। ইহার প্রথম ও দ্বিতীয় সভায় বুদ্ধের উপদেশ ও কথাবাৰ্ত্তা সঙ্কলিত হইয়া বৌদ্ধশাস্ত্ৰ প্ৰস্তুত ও অশোকের সভায় সেই শাস্ত্ৰ পুনর্বার সমালোচিত ও স্থিরীকৃত হয়। ঐ শাস্ত্র তিন প্রকার— বিনয় পিটক, সুত্র পিটক এবং অভিধৰ্ম্ম পিটক। এই তিনের সমবেত নাম ত্ৰিপিটক। ইহাতে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মত ও বিশ্বাস, অনুষ্ঠান প্ৰণালী, প্ৰায়শ্চিত্ত বিধান, নীতি, উপাখ্যান, দর্শন শাস্ত্ৰ প্ৰভৃতি বিনিবেশিত আছে।