পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৌদ্ধধৰ্ম্ম । ܦܬܓ কািটবদ্ধ হইল। আমার মনে হয় বেদাচার বিরুদ্ধ সঙ্ঘের স্বতন্ত্র গঠন প্ৰণালী হইতেই ব্ৰাহ্মণ্য ও বৌদ্ধধৰ্ম্মের সাঙলাতিক বিরোধের সূত্ৰপাত । දරිද් ব্ৰাহ্মাণ্যের গৃহাশ্রম, অন্যদিকে বৌদ্ধ-সঙ্ঘের সন্ন্যাসধৰ্ম্ম ; স্ত্ৰক সমাজ বৈদিক ক্রিয়াকাণ্ড বৰ্ণাশ্রমের উপর প্রতিষ্ঠিত, অন্য সমাজ মনুষ্যের সামাবাদী কঠোর ধৰ্ম্মনীতিমূলক ; এই দুই পরস্পরবিরোধী শক্তি কতদিন আর শান্তি সপ্তাবে কাৰ্য্য করিবে ? এই বিরোধ ক্ৰমে ঘনীভূত হইয়া অবশেষে ব্ৰাহ্মাণ্যের জয়, বৌদ্ধধৰ্ম্মের পতন সঙ্ঘটিত হইল) ~ ভারতবর্ষে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাবে হিন্দুধৰ্ম্ম কোনকালে সমুলে নিমূল হয় নাই। অনেক বৎসর ধরিয়া এই দুই ধৰ্ম্ম পরস্পর্ব শান্তি সন্তাবে একত্রে বাস করে । হুয়েন সাং-এব ভ্ৰমণ বৃত্তান্ত তইতে ইতিপূর্বে দেখান গিয়াছে যে, রাজা শিলাদিত ব্ৰাহ্মণ শ্রমণ উভয় পক্ষেরই আনুকুল্য করিতেন, उडश प्रश्न:कझे আমন্ত্রণ দানাদির দ্বারা পরিতুষ্ট রাখিবার প্রয়াসী ছিলেন । প্ৰয়াগে যখন তাহার মহাসভা হয়, তখন তাহাতে উভয়ধৰ্ম্মাবলম্বী আচাৰ্য্যদের মধ্যে ধৰ্ম্মালোচনা চলে, এবং বুদ্ধ সবিতা শিবমূর্ণিঃ এক এক দিন এক এক প্ৰতিমা প্ৰতিষ্ঠা হয়। নাগানন্দ নামক বৌদ্ধ নাটক ঐ সময়কার প্রণীত, তাহাতেও বিভিন্ন ধৰ্ম্ম, ভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সপ্তাবের অনেক পরিচয় পাওয়া যায় ; ঐ নাটকের নান্দীতে ‘মারদুহিতা অপসারগণের মায়ামন্ত্রে অপরাজিত’ ধৰ্ম্মবীর বুদ্ধের অবতারণা আছে। হলোরা ও অন্যান্য স্থানে বৌদ্ধ ও হিন্দু গুহামন্দির পাশাপাশি দেখা যায়, তাহাও এই দুই ধৰ্ম্মের সন্তাবি-সুচক । খৃষ্টাব্দের একাদশ