পাতা:বৌদ্ধধর্ম - সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

KoYYy বৌদ্ধধৰ্ম্ম কোন এক বাড়ীতে উঠিতে হুইবে । লোকে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল-কৈ, বাড়ী কোথায় ? যাহাতে চড়িবার জন্য এই সিঁড়ি নিৰ্ম্মিত হইতেছে, সেই বাড়ী কোথায় ? পূর্ব, পশ্চিম, দক্ষিণে কি উত্তরে ? ইহা ছোট, বড়, মাঝারি, কি আকারের বাড়ী ? ইহা প্ৰাসাদ কি কুটীর ? ইহার উত্তরে যদি নিৰ্ম্মাতা বলেন, আমি তা জানি না, তখন লোকে কি তাহাকে উপহাস করিয়া বালিবে না, যে বাড়ীতে উঠিতে চাহ সে বাড়ী কোথায় তাহা জান না, সে বাড়ী কখন দেখা নাই, অথচ তাহার সিড়ি নিৰ্ম্মাণ করিতে এত ব্যস্ত-এ কি কথা ? ইহা কি বাতুলের প্রলাপ-বাক্য বলিয়া ধাৰ্য্য হইবে না ? ব্ৰাহ্মণের উত্তর করিলেন-তাহার সে কথা পাগলামী ভিন্ন আর কিছুই বলা যায় না। বুদ্ধদেব কহিলেন, যে ব্ৰহ্ম বিষয়ে তাহারা সম্পূৰ্ণ অনভিজ্ঞ, যাহাকে তাহারা জানেন না, যিনি র্তাহাদের প্রত্যক্ষগোচর নহেন, ব্ৰাহ্মণের সেই ব্ৰহ্মের সহিত মিলন করাইয়া দিতে চান-সেই মিলনের পথ দেখাইয়া দিতে প্ৰস্তুত। তঁহাদের কথা কি বাতুলের প্রলাপবাক্য তুলা অগ্ৰাহ্য নহে ? তাহদের ব্ৰহ্মোপদেশের কি কোন অর্থ আছে ? অন্ধ কর্তৃক অন্ধ নীয়মান হইলে যাহা হয়, এও তাহাই । যে অগ্রগামী সেও কিছু দেখিতে পায় না, যে পশ্চাতে চলিয়াছে, সেও দেখিতে পায় না-ই হারাও সেই অন্ধের দল । বক্তাও অন্ধ, শ্রোতাও অন্ধ। এই সকল বেদবিত্ৰ ব্ৰাহ্মণের উপদেশ সারহীন, অর্থহীন, তাৎপৰ্য্যশূন্ত— কথাই সর্বস্ব, তাহার কোন অর্থ নাই ।