পাতা:বৌদ্ধধর্ম - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাযান কোথা হইতে আসিল ? অনেকেই মনে করেন যে নাগাৰ্জ্জুনই মহাযানমত চলাইয়া দেন। তঁহার ‘মাধ্যমক বৃত্তি’ মহাযানের প্রথম গ্ৰন্থ। তিনিই পাতাল হইতে প্ৰজ্ঞাপারমিতাসুত্ৰ উদ্ধার করিয়াছিলেন, তঁহারই শিষ্য আৰ্য্যদেব এই মত চারিদিকে ছড়াইয়া দিয়াছিলেন। চীনের বলে “আৰ্য্যদেব অধ্যাত্মবিদ্যার চূড়ান্ত করিয়া গিয়াছেন”। এই দুইজনই মহাযানের আদি গুরু। কিন্তু বিশেষ করিয়া দেখিলে বোধ হইবে নাগাৰ্জ্জুনের পূর্ব হইতেই মহাযানমত চলিতেছিল । নাগাৰ্জ্জুনের দুই পুরুষ পূর্বে অশ্বঘোষ ‘মহাযানশ্রন্ধেৎপাদসূত্র' নামে এক পুস্তক লিখিয়া গিয়াছেন। অশ্বঘোষের ‘বুদ্ধচরিত’ ও ‘সৌন্দরানন্দ” মহাযানমতে ভরপুর। ‘শ্রদ্ধোৎপাদসূত্র’ তৰ্জমা করিতে করিতে জাপানী পণ্ডিত সুজুকী বলিয়াছেন অশ্বঘোষেরও পূর্বে মহাযানমত চলিত। ‘লঙ্কাবতার” প্ৰভৃতি তিনখানি মহাযান সুত্র অশ্বঘোষের পূর্বেও চলিত ছিল; সুতরাং মহাযানের আদি ঠিক বলিয়া উঠা কঠিন। বৌদ্ধের বলে বুদ্ধদেবের মৃত্যুর প্রায় একশত বৎসর পরে বৌদ্ধসঙ্ঘর মধ্যে ভয়ানক গোলযোগ উপস্থিত হয়। স্থবিরেরা, বুদ্ধদেব যেরূপ বিনয়ের বন্মোবস্ত করিয়া গিয়াছিলেন, তাহা হইতে একচুল তফাৎ হইতে চাহিত ন', কিন্তু যাহাঁদের বয়স অল্প, তাহারা অনেক বিষয়ে স্থবিরদিগের মতে চালিত না। বুদ্ধদেবের কঠিন শাসন ছিল। বারটার পর কেহ আহার করিবে: না। তাহারা বলিত এক আধা ঘণ্টা পরে খাইলে দোষ কি ? বুদ্ধদেব ভিক্ষুদিগকে কিছুই সঞ্চয় করিতে দিতেন না। তাহারা বলিত সিং এর ভিতর যদি একটু লুণ সঞ্চয় করিয়া রাখা হয়, তাহাতে কি দোষ হইতে পারে। এইরূপে দশটি বিষয় লইয়া স্থবিরদিগের সহিত তাহাদের মতের অনৈক্য হয় । এইরূপ অনৈক্য হওয়াতে র্যাহারা বৌদ্ধধৰ্ম্মের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, তাহার একটি সভা করিয়া এ সকল বিষম্বের চূড়ান্ত নিম্পত্তি করিতে চান। বৈশালীতে এক মহাসভা হয়। এই नडांव किछूरे भैौभां९न श्न नl, किड अश्किi५न (बोक्ष श्दबद्ध प्रग