পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

, 현에 1 0. সংসার খরচের জন্য . ঋণগ্রহণ অনেকস্থলেই অন্যায়। সাংসারিক ব্যয়ের জন্য ধারে জিনিস খরিদ করা উচিত নয়, সহজে পাওয়া যায় বলিয়া ব্যর বাহুল্য হয়, ধার করিবার অভ্যাস জন্মে, এবং চিরকালই ধারা থাকে। ধনীলোকদের মধ্যেও সময় সময় এই অভ্যাস দেখা যায়। কোন কোন ব্যবসায়ী অল্প জিনিস দিয়া বেশি লিখার কথাও শোনা যায় । (গ) ধারে বিক্ৰয় । ধারে বিক্রয় করিলে গ্ৰাহক খুব বাড়ে, বিক্রয় বেশী হয় এবং মুনাফা খাতায় খুব দেখা যায়, ভাগ্যক্রমে গ্ৰাহকগুলি সৎ হইলে এবং নিয়ম মত টাকা দিলে কাজেও খুব লাভ হয়। এইরূপ গ্ৰাহক প্ৰায়ের ভাগ্যেই কম ঘটে । কিন্তু গ্ৰাহক অসৎ হইলে বা টাকা নিয়ম মত না দিলে ফেইল হওয়ার সম্ভবনা । সুতরাং ব্যবসায় বৃদ্ধির জন্য ধার দেওয়া সুবিধাজনক নহে। আত্মীয়তা রক্ষার জন্য যদি ধার দিতে হয় তবে দিতে পার, কিন্তু রসিদ নিবে এবং আদায়ের তারিখ লিখাইয়া নিতে চেষ্টা করিবে । কাপড়ের বড় বড় ব্যবসায়ে ব্যবসায়ী গ্রাহককে ধার না দিলে ব্যবসায় ভালরূপ চলে না, সেই স্থানেও বিশেষ সাবধানে ধার দিবে। অপরিমিত ঋণজালে জড়িত বা নূতন ব্যবসায়ী অথবা যাহাকে অসৎ বলিয়া জান তাহাকে ধার দিবে না । কাপড়ের ব্যবসায়ে বিশেষ সুবিধা এই যে নির্দিষ্ট ৪৫ দিনে ( due মত) টাকা না দিলে সুন্দ দিতে হয়, পূর্বে দিলে সুন্দ ৰাদ পাওয়া যায়। অব্যবসায়ী লোকদিগকে ধার দেওয়া কোনমতেই যুক্তিসঙ্গীত নহে। তাহারা ধার নেওয়াকে ব্যবসায়ীর উপকার করা মনে করে। ধার না দিতে হইলে ব্যবসায়ের আরম্ভ হইতেই ধার দিবে না। একবার ধার দিতে আরম্ভ করিলে পরে ধার দেওয়া বন্ধ করা কঠিন হইবে। এক শ্রেণীর পুরাতন ব্যবসায়ীরা বলে-“পা পাকড়কের মাল 〔际母 জুতিমারুকের রোপেয়া লেও।” ইহা চুনীতি