পাতা:ব্যবসায়ী - মহেশচন্দ্র ভট্টাচার্য্য.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ী । ব্যবসায়ে এত পরিশ্রম হইলে লোকে চাকুরী না করিয়া ব্যবসায়ে যাইবে কেন ? তাহার উত্তরে বলা যাইতে পারে যে প্ৰথমে অতিশয় পরিশ্রম করিয়া ব্যবসায় একবার ঠিক করিয়া লইতে পারিলে, এবং উপযুক্ত কৰ্ম্মচারী পাইলে, পরে স্বত্বাধিকারী পরিশ্রম এইরূপ কমাইয়া দিতে পারেন যে তখন অল্প পরিশ্রমে সম্পূর্ণ পারিশ্রমিক পাইবেন। প্রথমে কিছু কাঠ খড় খরচ করিয়া একবার চালাইয়া দিতে পারিলে, ঐঞ্জিন প্রায় আপন হইতেই চলে ও পূরা ফল পাওয়া যায় ; কিন্তু সৰ্ব্বদা কাৰ্য্যের জন্য প্ৰস্তুত থাকিতে হইবে এবং বেগতিক দেখিলেই হাল ধরিতে হইবে । সাধু ভাবে *ift(öt vet: fői °itët. K. 1 " Honest labour must be rewarded ” শিশু, বৃদ্ধ, পীড়িত ও পেন্সনার ব্যতীত সকলেরই স্ব স্ব জীবিকার জন্য পরিশ্রম করা উচিত, তাহা যে না করে সে পৃথিবীর অনিষ্টকারী । অধিকন্তু পরিশ্রম ব্যতীত শরীর এবং মন ভাল থাকে না । ( ৫ } পুরাতন শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সকলকে তাহাদের মত হইতে উপদেশ দিয়া থাকে। তাহাদের মধ্যে যাহারা অত্যন্ত গরীব তাঙ্গারাও আমাদের ধনীদের তুলনায় ও আহার বিহারে অধিক ধনী এবং কাজের সময় আবশ্যক মত মুটের মত কাজ করিয়া থাকে; তাহাদের মধ্যে প্রায়ই গরীব নাই । বাজারে গিয়া খাদ্য দ্রব্য কিনিবার সময় তাহারা অধিক মূল্যে ভাল জিনিষ কিনিয়া লইয়া যায়, ভাল ও পরিষ্কার পোষাক পরে, সুখে স্বচ্ছন্দে থাকায় তাহাদের চেঙ্গারা সুন্দর হয়, কিন্তু তাহার হাট করিতে যাওয়ার সময় ২০৩০ সেরা জিনিষ মাথায় করিয়া হাটে লইয়া যাওয়াকে অপমান মনে করে না । 唱 অবস্থা ভাল থাকিলে সম্ভব মত ভোগ করিবে, কিন্তু আবশ্যক মত মুটের কাজ করিতে প্ৰস্তুত থাকিবে। কাজে অপমান বোধ করিবে না শারীরিক পরিশ্রম অভ্যাস রাখিবে । ভাল অবস্থার সময় বাজার হইতে মৎস্য প্রভৃতি হাতে করিয়া আনিবে, তবে দুরবস্থার সময় মৎস্যাদি হাতে