পাতা:ব্যবসায়ে বাঙালী.djvu/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যবসায়ে বাঙালী sts যখন টাকার টান পড়িল, তখন পাওনাদারের নিকট তাগেদায় গেলে প্রথমতঃ ওয়াদা চলিতে লাগিল, পরে বচসায় পরিণত হইল, তখন গ্রামের মধ্যে স্বর উঠিল,—“লোকটি বড়ই অসজ্জন, মানীর মান রাখিতে জানে না, এরূপ লোককে সমাজে স্থান দেওয়া উচিত নহে । উহাকে একঘরে করিতে হইবে।” একদিকে ব্যবসায়ী স্বর্গে উঠিলেন, অন্যদিকে ব্যবসা শিকায় উঠিল। আর একটা দৃষ্টাস্ত দিই। আমি কলিকাতার জনৈক আড়াই হাজার টাকা বেতনের সরকারী কৰ্ম্মচারীর কথা উল্লেখ করিব। . আমি কোন কার্ধ্যোপলক্ষে উক্ত বাবুর বাড়ীতে গিয়াছিলাম। আমার উপস্থিতিতে পর পর কয়েকজন পাওনাদারকে উপস্থিত হইতে দেখিলাম । তাহাদের মধ্যে কাহাকে বলা হইল, “পরের মাসে আসিও”, কাহাকে বলা হইল, "ব্যাঙ্কের চেক-বই ফুরাইয়াছে, পরে লইবেন।” একজনকে বলা হইল —“বাড়ীতে আজ একটা ঝঙ্কাট আছে, অন্যদিন আসিবেন।” এইভাবে যাতায়াতে দু' দু’বার নমস্কার ঠুকিয়া সকলেই ফিরিয়া গেলেন। অবশেষে জনৈক শালজামা-ধোলাইওয়ালা হাজির হইলে তাহাকে বলা হইল, “আজ যাও, মাসকাবারে আসিও ” ইহাতে অশিক্ষিত পাওনাদার হঠাৎ বলিয়া ফেলিল, “বাবু! আপনার মত লোকের কাছে যদি দশবার তাগেদীয় আসি, তবে আমাদের উপায় কি ?” বাবু বিশেষ অপমান বোধ করিয়া রাগতভাবে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তোমার পাওনা কত ?” সে বলিল, “১৩২২ টাকা।” বাবু বলিলেন, “আচ্ছা, কাল তোমার টাকা লইয়া যাইও, কিন্তু ভবিষ্যতে আর আমার বাড়ীর কাজ পাইবে না।” এই অবস্থাপন্ন প্রতিপত্তিশালী ব্যক্তিগণের দেনা-পাওনা পরিশোধের বেলায় যদি এই জাতীয় মনোবৃত্তি হয়, তাহা হইলে সাধারণ গৃহস্থের কথা না বলাই ভাল। বরং দেখিয়াছি যাহাদের অবস্থা শোচনীয় তাহারা