পাতা:ব্যবসা ও বানিজ্য (সপ্তম বর্ষ).pdf/৭৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

གiརྩིག ] করিয়া ঐ সকল সঙ্ঘ সেই অনুপাতে জমি চাষ করিবার জন্য চাষী দিগকে পরামর্শ দেয় । এদেশে সেরূপ কোন ব্যবস্থা নাই । ফলে অজ্ঞ কৃষককুল প্ৰতিনিয়তই প্ৰতারিত হইতেছে। তাহাদিগের ক্ষীণ দেহের রক্ত শোষণ করিয়া ধনিকের মাংসবহুল বিপুল-বপুৰ বিপুল তার হইতেছে মাত্র। আজকাল বাংলাদেশে ও দুয়েকটা “নিখিল বঙ্গ” বা "নিখিল ভারত” কৃষকসভা বা তদনুরূপ প্ৰতিষ্ঠান দেখিতে পাওয়া যায় বটে ; কিন্তু তাহদের অধিকাংশই যে শ্বাস কৃষক দিগের জন্য তত ব্যস্ত নহে-- যত নিজেদের স্বর্থসিদ্ধি ও নাম জাহির কার্বার জন্য -4दर्शी ठामक्र এরূপ সঙ্ঘ থাকিয়া কোনই লাভ নাই। কৃষকসঙ্ঘ কৃষকদিগের জন্য কৃষকদিগের দ্বারাই স্থাপিত হওয়া উচিত । অবশ্য ইহাদের মধ্যে শিক্ষিত লোক থাকা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু তাহারা ও চাষী হইলেই ভাল হয় । কেননা শিক্ষিত সহজেই অশিক্ষিতকে ঠাকাইতে পারে। কৃষকের নাম লইয়া নিজের স্বার্থ সাধন করা শিক্ষিতের পক্ষে খুব কঠিন কাৰ্য্য নহে। ফল কথা, স্বার্থের সমতা না থাকিলেই প্ৰবঞ্চনার সম্ভাবনা এবং প্ৰবঞ্চিত হইতে হইলে অজ্ঞ কৃষককুলই প্ৰবঞ্চিত হইবে। ৩ । এদেশের কৃষককুলের দুঃখ দুৰ্দশার তৃতীয় কারণ গভৰ্ণমেণ্টের অবহেলা । সৰ্ব্বদেশেই গভৰ্ণমেণ্ট কৃষক দিগের স্বার্থেব প্ৰতি দৃষ্টি রাখিয়া তাহাদিগকে নানা উপায়ে ধনীর গ্রাস হইতে রক্ষণ করে । তবুও সে সব দেশের চাষীরা সন্মাবদ্ধ। কিন্তু বাংলার চাষীরা আরও দুর্বল । তাহাদের বিদ্যাবুদ্ধি নাই যে নিজেরাই নিজেদের পাওনা গণ্ড বুঝিয়া লইবে । তাহাদের এমন অর্থ নাই যে, নিজের কৰ্ত্তব্য বুঝিলেও বেশী দিন ঘরে মাল S DB DBDBBDiSTiBB BD BB BDD D DD DD वश्ली: श्री ७ श्रांत्रिं शाश्नांश জোর করিয়াই বলিতে পারি } ዓ8ዓ তাহা তাঙ্গাদিগকে অর্থ বা পরামর্শ দানে সহায়তা করিবে। কাজেই বাংলাদেশে চাষীদের সম্বন্ধে গভর্ণ, মেন্টের দায়িত্ব আরও বেশী। কিন্তু গভৰ্ণমেণ্ট যে সে দায়িত্ব পুরাপুরি ভাবে পালন করিয়াছেন, বা করিতেছেন, এমন বিশ্বাস করিবার কোন হেতুই এ পৰ্যন্ত পাওয়া যায় নাই। ৪ । শিক্ষিত ব্যক্তিদিগের কৃষকের স্বার্থের প্রতি ঔদাসীন্য ও অবহেলা কৃষকদিগের দুঃখ দুৰ্দশার তুর্থ কারণ। শিক্ষিত সম্প্রদায় মুখে যাহাঁই বলুক না কেন—“স্বদেশসেবকগণ” মুখে দেশভক্তির, তথা কৃষক ভক্তির যতই উচ্ছাস দেখান না কেন, প্রকৃত পক্ষে কৃষকদিগের প্রতি তাতাদের বিন্দু মাত্র প্ৰাণের টান নাই। সভাসমিতিতে বক্তৃতার ঝোকে অনেকেই বলিয়া থাকেন বটে যে, তাহারা इकारদিগের জন্য পাগল—কৃষকের উন্নতিই তাঁহাদের কার্য্য, কিন্তু আমার ত সে কথা বিশ্বাস করিতে প্ৰবৃত্তি হয় না। আমার কেবলই মনে হয় ও-সমস্ত ভান, ন্যাকামী ও চালাবাজী মাত্র। কবির ভাষায়ও সেই “শুধু মিছে কথা ছলনা। ” কৈ ? চাষীদের প্রতি সত্যিকারের প্রাণের টান কৈ ? দরদ কৈ ? যাহারা তোমাকে অন্ন দিতেছে, यांश्iब्रi cडांभांब दक्ष cयiश्रi३cडrछ-cलभद्ध निब्रांনব্বই জন যাহারা, সেই বুভুক্ষু জীৰ্ণ, শীর্ণ, সহিষ্ণুতার প্ৰতিমূৰ্ত্তি, অথচ সহস্র অত্যাচারে উৎপীড়িত, সেই মূক কৃষকের জন্য তোমার অন্তর কঁাদিয়া উঠে কৈ ? তুমি ইচ্ছা করিলে তাতাকে বঁাচাইতে পার । তোমায় চেষ্টায় তাহার কঙ্কালসার দেহে মাংস লাগিতে পারে। তাহার অনশন ক্লিষ্ট ম্যালেরিয়াপিষ্ট দুর্বল দেহখানি সবল ও পুষ্ট হইয়া দ্বিগুণ উৎসাহে বাংলার স্বর্ণপ্ৰসু ক্ষেত্রে সুবণ উৎপাদন করিতে পারে। তাহাকে বঁাচাইতে তোমার চেষ্টা কৈ ? বাংলার শিক্ষিত সম্প্রদায় কৃষককে বঁাচাইবার