( 84 ) ও সাংগ্রামিক ঐক্যতীন বাদন বিশেষ বুঝিয়া শুনিলে, তৎপরক্ষনেই আমাদিগের দেশী সঙ্গীত বাল্য ক্রীড়ার ন্যায় বোধ হয় । আমরা সেই ঐক্যভান বাদন শুনিয়াছি, কিন্তু তাহাতে দেশী সঙ্গীত বালকের ক্রীড়ারূপে প্রতীয়মান হয় নাই । ঐক্যতানে অনেকগুলি যন্ত্র একত্র বাদিত হয় বটে, কিন্তু তন্মধ্যে অধিকাংশ যন্ত্রগুলির আনুষঙ্গিক ক্ষণিক ক্ষণিক যোগ মাত্র । দেশী যন্ত্রাদি সে রূপ অপেক্ষিক ভাবের নহে, সকলেই স্ব স্ব প্রধান, অথচ ইচ্ছানুসারে সংযোগ সহকারেও বাদিত হইতে পারে। এতদেশের সকল যন্ত্র একত্র বা জাইবার প্রথা নাই, তাহার কারণ এই, দেশীয় সঙ্গীতের নৈপুণ্য ব্যঞ্জক কৌশলগুলি (যথা মাড় ইত্যাদির বিবধ প্রকরণ ) অতি স্থ ক্ষম, একত্র বাজাইলে, সেট প্রায় লক্ষ্য হয় না । কালীঘাটের চওঁী পাঠ হইয়া উঠে । গ্রন্থকারের ন্যায় অৰ্দ্ধশিক্ষিতেরা, স্বতন্ত্র বাদন অপেক্ষা, একত্র বাদনের পক্ষপাতী হইতে পারেন, যেহেতু পাঠশালার মুখ বালকের ন্যায়, গণ্ডায় এগু যোগ করিয়া সঙ্গীতজ্ঞ দলভুক্ত হওয়ার, তেমন সুযোগ আর নাই । লোক অলপ এবং শব্দ ও অপেক্ষাকৃত মৃদু, এই কারণে ইউরোপীয় ঐক্যতানের অপেক্ষা, যদি দেশীয় পৃথক বাদনের, শিম্পি নিকষ্ট হয়, তবে পাটের কলের তুলনায়, চিত্রকরের শিম্পি ও নিকৃষ্ট । হে কাল! তোমার পরিবর্তনে কি কৌতুক সমূহই বিলোকিত হয়, যে স্থলে মহোম্মী সঙ্কুল সাগর মৃত্য করিভ, তথায় এক্ষণে অচল হিমালয় দণ্ডায়মান হইয়াছে, ফেন পুঞ্জের পরিবর্তে, শিরোভাগে তুষার সঞ্চয়, তিমি কুলের নিলয়ে, দন্তি দল বিচরণ কৱিতেছে। তোমার তুল্য শক্তিবানু আর নাই-তুমি কি না করিতে পার । সকল দেশের জ্ঞানীগণ, জ্ঞান শিখিতে বহুদূর হইতে যে হিন্দুস্থানে আদিত, সেই হিন্দুস্থান বাসীরা, জ্ঞান শিক্ষার
