পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

t 3-ré স্নান কিম্বা জলপান করিলে মানবগণের সপ্ত পুরুষ পবিত্ৰ হইয়া থাকে। তদনন্তর শ্ৰী রাধাগোবিন্দদেবাজীর যুগলমূৰ্ত্তি দর্শন করিয়া তাপিত প্ৰাণকে শীতল করিবেন । কৰ্ণাটদেশস্থ শ্ৰীকুমারদেবের পুত্ৰ শ্ৰীক্লপগোস্বামী মহাশয় দ্বারা শ্ৰীশ্ৰী রাধাগোবিন্দদেবাজী স্থাপিত হইয়াছেন। শ্ৰীকুমারদেবের অনেক সন্তান সন্ততি হয়, তন্মধ্যে শ্ৰীসনাতন, শ্ৰীর্যপ এবং শ্ৰীবল্লভ এই তিন জনই পরম ভক্ত ও পরম বৈষ্ণব-পারায়ণ ছিলেন । উক্ত শ্ৰীক্লপগোস্বামী মহাশয় মহাপ্রভুর কৃপায় নিজ কৰ্ম্মস্থল গৌড় ( মালদহ ) হইতে যখন ভগবদর্শনেচ্ছায় মহাব্যাকুল হইয়া শ্ৰীধামবৃন্দাবনে আসিয়াও বাঞ্ছিত শ্ৰীভগবানকে দেখিতে পাইলেন না, তখন “হা গোবিন্দ ! হা গোবিন্দ ! হা প্ৰাণনাথ ! তুমি কোথায় ?” ইত্যাদি প্রেমোচ্ছাস শব্দ উচ্চারণ করতঃ রোদন করিতে করিতে গ্রামে গ্রামে বনে বনে এমন কি ব্ৰজবাসিন্দিগের ঘরে ঘরে শ্ৰীভগবানের অনুসন্ধানে প্ৰবৃত্ত হইলেন। অনন্তর এক দিবস অকস্মাৎ এক অপুর্ব জ্যোতিসম্পন্ন ব্ৰজবাসী ব্ৰাহ্মণ আসিয়া শ্ৰীৱৰূপগোস্বামীকে কহিলেন যে ব্ৰহ্মকুণ্ডের নিকটবৰ্ত্তি “গৌমাটিলা” নামক { স্থানে একটা প্ৰধান গাভী প্ৰত্যহ আসিয়া যে স্থানে দাড়াইয়া দুগ্ধ দান করে। সেই পবিত্ৰ স্থানে সর্ব ইন্দ্ৰিয়ের নিয়ন্তা পরমাত্মা “শ্ৰীগোবিন্দদেব” আছেন । এই বলিয়া সেই ব্ৰজবাসী ব্ৰাহ্মণরূপধারী ভগবান অন্তৰ্দ্ধান হইলে পশ্চাৎ শ্ৰীক্লপগোস্বামী মহাশয় উক্ত নির্দিষ্ট স্থান হইতে শ্ৰীগোবিন্দদেবাজীকে প্ৰাপ্ত হইয়া মহা আনন্দ সাগরে নিমগ্ন হন । শ্ৰীশ্ৰী রাধাগোবিন্দদেবাজীর পুরাতন মন্দিরের উত্তর দিকে