পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R• ব্ৰজ-বার্তা । , , শ্ৰীশ্ৰীগোকুলানন্দজী এই তিন মন্দিরে যাত্ৰিদিগকে এক আনা করিয়া ভেটু দিতে হয় । । এতদ্ব্যতীত শ্ৰীবৃন্দাবনধামে দর্শনোপযুক্ত আরও অনেক মন্দিৱ আছে । অতএব যান্ত্ৰিগণ । তৎপরে শেঠজীর মন্দির ৷ দর্শন করিবেন। শেঠজীর মন্দিরে শ্ৰী রামানুজ সম্প্রদায়দিগের ” ‘রঙ্গাজী ঠাকুর” আছেন বলিয়া এতদেশীয় লোকেরা তদনুসারে ‘রঙ্গাজীর মন্দির” বলিয়া থাকেন। অনুমান সন ১৮৫৮ সালে স্বৰ্গীয় লক্ষনীৰ্চাদ শেঠের ভ্ৰাতা রাধাকৃষ্ণ এবং গোবিন্দদাস এই উভয় ব্যক্তির দ্বারা মন্দির-নিৰ্ম্মাণকাৰ্য্য প্ৰথম আরম্ভ হয় এবং ছয় বৎসরের মধ্যে পায়তাল্লিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সমস্ত মন্দির নিৰ্ম্মাৎ করাইয়া উক্ত ‘রঙ্গাজী ঠাকুরকে’ বিরাজমান করেন। এই মন্দির দেখিতে ঠিক “কেল্লার ন্যায়’ এবং ইহার ভিতরে যে একটা বৃহৎ সোনার ‘গরুড়স্তম্ভ” আছে তাহাকে আমাদের দেশের লোকেরা ‘সোনার তালগাছ” বলিয়া থাকে, কিন্তু দেখিলে তালগাছের কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না । শেঠজীর মন্দিরে নানা উপলক্ষে মেলা হইয়া থাকে, তন্মধ্যে চৈত্রমাসের ‘ব্রহ্মোৎসবের মেলা’ সর্বাপেক্ষা প্ৰশংসনীয়। এই মেলা প্ৰতিবৎসর চৈত্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে আরম্ভ হইয়া একাদশী তিথিতে সমাপ্ত হয় । পঞ্চমী এবং দশমী তিথিতে বিস্তর টাকার আতসবাজী পোড়ান হয় বলিয়া । দেশ দেশান্তর হইতে বহুলোকের সমাগম হইয়া থাকে। এইহেতু রেলওয়ে কোম্পানি সাধারণুের যাতায়াতের সুবিধার জন্য দুই দিবস অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেণের বন্দোবস্ত করিয়া থাকেন। লাঠিার এবং গজকচ্ছপের মেলাও নিতান্ত নিন্দনীয়