পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 و به ব্ৰজ-বার্তা ৭ প্ৰঙিমুক্তি দৰ্শন করিবেন। এই স্থান যাওবট’ বা যাবট বলিয়া প্ৰসিদ্ধ। ব্ৰজবাসিদিগকে এই স্থানে পরিতোষ পূর্বক লাড়ু খাওয়াইতে হয়। এতদ্ব্যতীত নন্দগ্রামে আরও অনুেক তীর্থ আছে যাহা সময়াভাবে কেহ দৰ্শন করেন না। অতএব যান্ত্রিগণ দশনাদি কাৰ্য্য শেষান্তে নন্দগ্রামে একরান্ত্ৰি वन् कञ्झि८वन् । পরদিবস প্রাতে নন্দগ্ৰাম হইতে যাত্ৰা করিয়া যত্ৰিগণ৷ ‘শেষশায়ী” যাইবেন । যাইবার সময় পথিমধ্যে প্ৰথম শ্বাসকুণ্ড ও তৎপরে চিত্তরঞ্জনকারী কোকিলবন তথা শ্ৰীকোকিলবিহারী এবং বঠেণগ্রামে বলদেবকুণ্ড ও শ্ৰীবলদেব বিহারীজী দর্শন করতঃ নুপুরবৃক্ষ পরিবেষ্টিত ‘বড়চরণ-পাহাড়ীতে” যাইবেন। শ্ৰীকৃষ্ণ গোচারণকালীন এই পবিত্ৰ পাহাড়ের উপর দাড়াইয়া এরূপভাবে বংশীধ্বনি করিয়াছিলেন যে, বংশীর স্বরে জীব জন্তু দূরের কথা, কিছুকালের জন্য শিলা পৰ্য্যন্তও গলিয়া গিয়াছিল এবং এই হেতু পাহাড়ের নিদিষ্ট শিলাতে শ্ৰীভগবান ও ধেনু বৎসাদির পদচিহিৈদ অদ্যাপি দেখিতে পাওয়া যায়। অতএব হে সৌভাগ্যশালী যাত্ৰিগণ ! আপনারা সেই ভগবানের শ্ৰীচরণচিহ্রস্স্পশা করিয়া আজি কৃতকৃতাৰ্থ হউন । অনন্তর যাত্ৰিগণ ! শ্ৰীকৃষ্ণ এবং শ্ৰীমতি রাধিকার যুগলমূৰ্ত্তি তথা চরণগঙ্গা দশন করতঃ কোটবন ও সূৰ্য্যকুণ্ড হইয়া শেষশায়ী” যাইবেন । এবং এখানে যে একটি বিস্তীর্ণ ক্ষীরাসাগর আছে তাহারই সন্নিকটে যাত্ৰিগণ আপনি আপনি বাসা লাইবেন। এই ক্ষীরসাগরের জল লবণাক্ত বলিয়া কেহ পান করেন না + এখানে প্রথমতঃ ক্ষীরসাগরে সংকল্প পূর্বক