পাতা:ব্রজ-বার্ত্তা ও তন্মাহাত্ম্য - পার্ব্বতীচরণ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাত্ৰিগণ “নন্দীশ্বর বা নন্দগ্ৰাম’ পৌঁছিলেন। বর্ষণ হইবেক, সঙ্কেতবট এক ক্রোশ এবং সঙ্কেতবট হইতে নন্দগ্রাম প্ৰায় অৰ্দ্ধ ক্রোশের উপর রাস্ত হইবে । নন্দগ্রামে পাবন সরোবির নামক যে প্ৰসিদ্ধ সরোবর আছে তাহার চতুদিকে যান্ত্ৰিগণ অবস্থিতি করিয়া থাকেন । র্যাহারা নন্দগ্রামে আসিয়া পাবনাসরোবর ও কৃষ্ণকুণ্ডে স্নান করতঃ শ্ৰীনন্দজী তথা শ্ৰীমতি যশোদারাণী এবং শ্ৰীনন্দীশ্বর মহাদেবাজীকে দশন । করেন, তঁহাদিগের সর্ব কামনা সিদ্ধ হয়। শ্ৰীকৃষ্ণ পাবনাসরোবর হইতে গাভীদিগের পানাৰ্থ জল লইতেন এবং এই সরোবর, বিশাখা সখীর পিতা পাবন আহরের দ্বারা নিৰ্ম্মিত বলিয়া বোধ হয়, তঁাহার নামানুযায়ী পাবনাসরোবর নাম হইয়াছে। মহিভানু রাজা অপুত্ৰক অবস্থায় নন্দীশ্বর মহাদেবাজীর নিকট পুত্র প্রার্থনা করায় বৃষভানু পুত্ৰকে লাভ করেন। সন ১৭৪৭ খৃষ্টাব্দে পাবন সরোবরের ঘাটগুলি বৰ্দ্ধমানাধিপতির মহারাণীর দ্বারা তৈয়ার হয়। যাহা হউক। যাত্ৰিগণ ! টিলার উপর উঠিয়া তথায় শ্ৰীনন্দজী ও শ্ৰীমতী যশোদারাণী, শ্ৰীকৃষ্ণ এবং বলরামজী দশন করিবেন । তৎপরে ক্ৰমশঃ নৃত্যগোপাল, নৃসিংহ, গিরিধারী, রাধামোহন, যশোদানন্দন ও নন্দনন্দন দশন করিয়া বাসায় ফিরিয়া আসিবেন ; এবং তৎপরে মধ্যাহে আহারাদি কাৰ্য্য সমাপনান্তে তৃতীয় প্রহরে পুনরায় বাসা হইতে যাত্ৰা করিয়া প্ৰথম কৃষ্ণকুণ্ড তৎপরে ক্রমশঃ কদম্বকুণ্ড, বলদেবকুণ্ড, কিশোরীকুণ্ড তথা কিশোরীবট দশন করিয়া পাড়ারগঙ্গা যাইবেন এবং তথায় জটিলা-কুটিলা ও আয়ান ঘোষের বাটী এবং তঁহাদিগের