ব্ৰহ্মবোধিকা । \)) “আত্মা মন হইতে বিভিন্ন, তিনি বিজ্ঞানময়” এই বেদোক্তি গ্রহণ কবিয়া এবং শক্তিসঞ্চারকাবী কোন কৰ্ত্তাব অভাবে মন ও ইন্দ্রিয়গণেব কর্ষ্যশক্তিব অভাব হয় দেখিয়া অাব “আমি কর্তা, আমি ভোক্তা” এইরূপ অনুভব কবিয়া বিজ্ঞানবাদী বৌদ্ধেৰ সৰ্ব্বেন্দ্রিয়চালনতেতু বুদ্ধিকে তাত্মিা মনে কবেন ॥১৫৪-১৫৬৷৷ আনন্দময় অত্মৈবং শ্রীতিবচনদশনাত । বদ্ধ্যাদীন মুষপেী চাক্তানে বিলয়দর্শনাং । ১৫৭ ৷৷ কিঞ্চিন্নাবেদমজ্ঞোহহমিত্যাদ্যনুভবাত্তথা । বদতোঃ জ্ঞানমাত্মেতি প্রাভাকবচ তাকিক ৷৷ ১৫৮ ৷৷ "আত্মা আনন্দময়” এইরূপ শ্রুতিবাক্য দেখিয়া ও সুষুপ্তিকালে বৃদ্ধ্যাদিব অজ্ঞানে বিলয় দেখিয়া, আমি অজ্ঞ ছিলাম কিছুষ্ট জানিতে পাবি নাই” ইত্যাদিরূপ অনুভব বশতঃ প্রাভাকব ও তাকিল সম্প্রদায়ভুক্ত লোকে ভাজ্ঞানকে স্বাত্মা বলে ৷৷ ১৫৭, ১৫৮ ৷৷ প্রকাশস্ত প্রক শস্ত সুষপ্তেী যুগপৎস্থিতেঃ। একীভালাং তথান্তোন্তং চৈতন্তাজ্ঞানয়োদ্বয়ো ॥ ১৫৯ ৷৷ حي প্রজ্ঞানঘন ভাননাময় তাত্মেতি ভাষণাৎ । মামহং নহি জানামীত্যেবমমুভবাত্তথা ৷৷ ১৬০ ৷৷ কশ্চিনমীমাংসকে ভট্টইহ্যেৰ নামধেয়বান। অজ্ঞানাহিতচৈতন্যমত্মেতি ভাষতে সদা ৷৷ ১৬১ ৷৷ সুষুপ্তিতে প্রকাশ এবং অপ্রকাশ এককালে থাকে বলিয়া এবং চৈতন্ত্য ও অজ্ঞান উভয়েব পবশব একীভাব হয় বলিয়া “আত্মা প্রজ্ঞানঘন শু নন্দময়” এইরূপ এতিবাক্য দেখিয়া “আমি আমাকে কিছুমাত্র জানিতে পাবি নাই” এইরূপ অনুভব হয় বলিয়া কোন ভটনামক মীমাংসক অজ্ঞানোপচিত চৈতন্যকে আত্মা বলে। ১৫৯, ১৬৭, ১৬১ ৷৷
