পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २४ | পঞ্চম ব্যাখ্যান । ১৭ শ্রাবণ ১৭৮৩ শক । “শৃণ,স্ত বিশ্বে অমৃতস্য পুত্ৰ অ’ য়ে ধামানি দিব্যানি তস্থঃ । বেদাহমেতং পুরুষং মহাত্তং শুমাদিত্যবৰ্ণং তমসঃ পরস্তাৎ " হে দিব্যধাম-বনী অমৃতের পুত্র-সকল ! তোমরং শ্রবণ কর, আমি সেই তিমিরাতীত জ্যোতিৰ্ম্ময় মহান পুরুষকে জানিয়াছি। সাধক কেবল র্তাহাকে জানিয়াই মৃত্যুকে অতিক্রম করেন । অামারদের সেই পরমেশ্বর, তিনি তিমিরাতীত জ্যোতিৰ্ম্ময় মহান পুরুষ। আমরা তার শরণাপন্ন হইয়া তারই কৃপাতে র্তাহাকে জানিয়াছি—জানিয়া দিব্যধাম-বাসী অমৃতের পুত্র-সকলকে আহবান করিতেছি । যখন তার শরণাপন্ন হইয়াছি, তখন আর অামাদের মৃতু্য-ভয় নাই—সংশয় অন্ধকার আমাদের চিত্তকে আর কলুষিত করিতে পারে না । আমাদের নিকটে সকলই আলোক, সকলই পরিস্কার। আমরা সেই অমৃত-স্বৰূপ প্রাণ-স্বৰূপকে পাইয়া অমৃত লাভ করিয়াছি—আমরা কৃতাৰ্থ হইয়াছি। হে দিব্যধাম-বাসী অমৃতের পুত্র-সকল ! তোমাদের সহিত সহৃদয় হইয়া, একাত্মা হইয়া, তোমারদিগকে আহবান করিতেছি । এই ক্ষুদ্র মৰ্ত্ত্য পৃথিবীতে আমাদের বাস ; কিন্তু তোমারদের ন্যায় আমরা জ্যোতিঃস্বৰূপকে জানিয়াছি, মৃত্যু ভয়কে আমরা অতিক্রম করিয়াছি । এ আনন্দ কার নিকটে ব্যক্ত করিব ? এ আনন্দ হৃদয়ে ধারণ হয় না, এ আনন্দ এই ক্ষুদ্র শরীরে ধারণ হয় না, মনুষের নিকটে বলিয়াও ইহার কিছুই বলা হয় না ।