পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ৩৪ } ষষ্ঠ ব্যাখ্যান । ২৪ শ্রাবণ ১৭৮৩ শক । “যুৰৈৰ ধৰ্ম্মশীলঃ স্যাৎ । ” যুবকালেই ধৰ্ম্মশীল হইবে—জীবনের কোন স্থিরতা নাই । যৌবন কালেই ধৰ্ম্ম হৃদয়ে প্রবেশ করে । যৌবন কালেই জ্ঞান উজ্জল হয়, ঈশ্বরে অনুরাগ যায়—যৌবন কালেই হৃদয় প্রফুল্ল হয়—যৌবন কালে ইচ্ছা ধৰ্ম্ম বলে বলবতী হইম সংসারের সহস্র বিয়ের প্রতিকুলে দণ্ডায়মান হয় । উষা কালের স্থৰ্য্যের শোভার ন্যায়, যৌবন কালের প্রভায় আমারদের সমুদয় প্রকৃতি উজ্জল হয়। তখন শরীরের সৌন্দৰ্য দীপ্তি পায়—তখন ধৰ্ম্মের ভাব বিকশিত হয়। যেমন প্রাতঃ কালে লতিকাতে পুষ্প প্রস্ফুটিত श्झ, সেই ৰূপ যৌবন কালে মঙ্গল ভাব হৃদয়ে রাজত্ব করে— তাহার সৌরতে চতুর্দিক আমোদিত হয় । জ্ঞান প্রফুল্লিত হয়—তখন বোধ হয়, যেন কোন অন্ধকার প্রদেশ হইতে উজ্জল দেশে আসিতেছি। যে সকল মঙ্গল-ভাব প্রচ্ছন্ন ছিল, তাহ প্রদীপ্ত হয়। শরীরের বল, জ্ঞানের বল, কপিনার বল, ধৰ্ম্মের বল, সকলই প্রকাশ পায় । সমুদয় প্রকৃতিই তখন তেজস্বিনী হয়। শরীর নূতন বল ও ক্ষুক্তি লাভ করে। জ্ঞান উজ্জল হইয়া নুতন নুতন সত্য ধারণ করে । কল্পনা-শক্তি প্রবল হইয়। সকল স্থানকে কবিত্বরসে রসান্বিত করে। ধর্মের ভাবেও আত্মা তখন অলঙ্কত হয়। শরীরের ব্যায়াম দ্বারা তখন যদি শরীরকে সবল না