পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬ ] লোভে, অলপ ভয়েতেই, ত্রত ভঙ্গ করিলে—যদি ধৰ্ম্মবলে, ধৰ্ম্ম-সাহসে, আত্মাকে বলীয়ান না করিলে; তবে আপনার মহান অনিষ্ট সাধন করলে । এ ক্ষণে দেখ, যুবারাই ব্রাহ্মধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া তা হার ব্রত-পালনে প্রাণ মন সমর্পণ করিতেছেন। এখন পুরাতন পত্র পড়িয়া যাইতেছে, নবীন পত্রে বৃক্ষের শোভ হইতেছে । যুবকের শত সহস্ৰ প্রতিকূলতার বিপক্ষেও প্রতিজ্ঞা করিতেছেন, “সৰ্ব্ব-স্রষ্ট। পরব্রহ্ম-ৰূপে স্বস্ট কোন বস্তুর আরাধনা করিব না” এবং সেই প্রতিজ্ঞ রক্ষার জন্য গুরু বিপত্তি-সকলুও স্বীকার করিতেছেন । র্তাহারদিগের কি কোন উৎসাহদাত{ নাই ?—অভয়-স্বৰূপ ঈশ্বরই তাহারদের উৎসাহ-দাভ। । যৌবন কালেই ধৰ্ম্মের বল প্রকাশ কর; সে বল কোন বিঘ্ন মানে না, কোন বাধ। মানে না, ভীষণ মৃত্যু-ভয়কে ও সে বল অতিক্রম করে । আমাদের প্রকৃতি দুই প্রকার—এক উচ্চ প্রকৃতি, এক নীচ প্রকৃতি। আমাদের আত্মাও আছে, শরীরও আছে । আমরা পৃথিবীর জন্য এবং অমৃত নিকেতনের ও জন্য । দেখ, বৃক্ষের মুল মৃত্তিকার মধ্যেই নিহিত থাকে, কিন্তু তাহার শাখা প্রশাখা আকাশে বিস্তুত হইয়া স্বৰ্য্য-কিরণে প্রফুল্লিত হইতে থাকে । আমরাও দুই দিকে আছি, পৃথিবীর ভিত্তি-ভূমিতে আমাদের শরীর আবদ্ধ রহিয়াছে—পরমাত্ম-ৰূপ স্থৰ্য্যের দিকে আমাদের আত্মা প্রসারিত আছে। যুবকালে যেমন আমরা পৃথিবীর যোগ্য হই—যেমন প্রফুল্লভ পুস্পলতার সঙ্গে আমাদের শরীর মন প্রফুল্লিত হয় ; সেই ৰূপ আত্মাও ঈশ্বরের ভাবে