পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s to মাস্তৱিক প্রার্থন। যখন পুর্ণ হয়, তখন র্তাহার হৃদয় হইতে কৃতজ্ঞতা-সরোবর উচ্ছ,সিজ হইয়া ঈশ্বরেব চরণে ধাবিত হয় । যেমন র্তার বিষয়তৃষ্ণার নিবৃত্তি হয়—যেমন তিনি সন্তোষাস্থত লাভ করেন—যেমন র্তাহার সুপ্রশস্ত প্রসন্ন আত্মাতে ঈশ্বরকে বিরাজিত দেখেন ; তিনি আশ্চৰ্য্য হইয়। ব্যক্ত করেন “ আশ্চৰ্য্য ! আগশচর্য্য —আশ্চর্য্য তোমার দয়া, জগদীশ ! আশ্চির্য্য তোমার করুণা—আমি কে ষে আমাকে তুমি দেখা দিতেছ ! ” তিনি কৃতজ্ঞতা কোথায় রাখিবেন, কি প্রকারে ব্যক্ত করিবেন, তাই তিনি জানেন না । তাহার প্রেমাদ্র হৃদয় ঈশ্বরের সত্তত্তে পূর্ণ হইল—তিনি কি করিবেন, কি বলিবেন, কিছুই স্থির পান না । ধৰ্ম্ম তখন তাঁহার অনুকুল । ষে ধৰ্ম্ম অামারদের এই পৃথিবীর বন্ধু—যে ধৰ্ম্ম স্বর্গের বন্ধু—যিনি আমারদের হস্ত ধারণ করিয়া পরম পিতার নিকটে লইয়া ষান ; সেই ধৰ্ম্ম তাহার সুহৃৎ ও মন্ত্রী । তিনি তাহার মস্তকে হস্ত দিয়া বলেন, আমাকে যিনি তোমার নিকটে প্রেরণ করিয়াছেন, তাহার আদেশ এই ষে আমি তোমাকে তাহারই নিকটে লইয়া যাইব । আমরা তাহার এই মধুময় বাক্য শ্রবণ করিয়া যখন তাহার অনুগামী হই, তাহার অনুরোধে বিষয় সম্পৎ ত্যাগ করি, কষ্ট স্বীকার করি ; তখন আমারদের ইচ্ছ। সবল হয়, হৃদয় মধুময় হয়—মধুময় আত্মাতে পরমেশ্বর আনন্দ ৰূপে অমৃত-ৰূপে প্রকাশিত স্থূল । ধর্ম ব্রান্ধের অনুকুল, বিষয়ী লোকের প্রতিকুল । ধৰ্ম্ম ৰখন তাৰাকে গম্ভীর স্বরে তাহার দুর্গতি পরিহারের জন্য