পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ t; } কোন অনর্থকর বিষয় ত্যাগ করিবার অাদেশ করেন, তখঞ্জ র্তাহার মনে সে আদেশ কি কঠোর বোধ হয় । তাহার হদিঞ্জিত কামনার বিষয় পরিত্যাগ করিতে সে কেমন কুষ্ঠিত হয় । সে ধৰ্ম্মকে কঠোর শিক্ষকের সমান দেখে, র্তাঙ্গর মধুময় ভােব গ্রহণ করিতে পারে না । সম্বৎসর কাল পরিশ্রম করিয়া যখন সে র্তাহার পরিশ্রমের বিষময় ফল, নীচ প্রবৃত্তির পাপ-দুষিত বিষয়, লাভ করিবার জন্য হস্ত প্রসারণ করিতেছে —ধৰ্ম্ম বলিতেছেন মিথ্য সাক্ষ}, প্রবঞ্চন, শঠত। পরিত্যাগ কর, এখনি পরিত্যাগ কর— অন্যায় ৰূপে পর-ড্রব্য গ্রহণ করিও ন!—নির্দোষকে দুৰ্ব্বলকে পীড়ন করিও না—পান-দোষ, ব্যভিচার-দোষ ত্যাগ কর—এই সকল আদেশ তাহার শ্রবণে যেন বজ্রপাত হয় । যাহারণ সৰ্ব্ব প্রযত্নে বিষয়-সুখকেই সেবা করিতেছে, তাহার। ধৰ্ম্মের জন্য ত্যাগ করিতে মৃত-তুল্য হয় । “ধৰ্ম্মংচর ” ধৰ্ম্মানুষ্ঠান কর, এই অর্থ-পূর্ণ গুরুতর আদেশ তাহারদের নিকটে অনেক সময় অর্থ-শূন্য সারহীন হয় । তাহার ধৰ্ম্মকে ধৰ্ম্মের জন্য, ঈশ্বরের জন্য, অলিঙ্গন করে না ; তাহারণ অর্থ চায়, সুখ চায়—অগ্রে লাভ ক্ষতির বিষয় বিবেচনা করে । এই জন্য ধৰ্ম্ম তাহারদের নিকট কঠোর গুরু, তাহারদের স্বসাধ্য সুখ-ভোগের বিস্ত্রকারী । তাহারা অনেক সময়ে ধর্মের গূঢ়তম অন্তঃস্ফুট বাক্য-সকল অবমাননা করিয়া মহা দুৰ্গতি প্রাপ্ত হয় । ব্ৰহ্ম র্যাহার প্রাধুনীয়, ব্রহ্ম যার লক্ষ্য ; ধৰ্ম্ম তাহার অমুকুল হইয় তাহারই প্রার্থনীয় প্রিয়তমকে তাহার নিকটে অনিয়া দৈন । ধৰ্ম্ম এক জনের কঠোর শিক্ষক