পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের ব্যাখ্যান - দ্বিতীয় প্রকরণ.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७8 ], যদি সেই পবিত্র-স্বৰূপের উপর নির্ভর করিতে না পারিলাম, তবে অণর শান্তি কোথায় পাইব ? অামারদের জন্য স্বর্য, চন্দ্র, নক্ষত্র আলোক বর্ষণ করিতেছে—বায়ু অবিশ্রামে বহমান হইয়া আমারদের জীবন রক্ষণ করিতেছে — বৃটি অামারদের জন্য মেদিনীকে উর্বর করিয়া আমারদের শরীর পোষণ করি ভেছে—অজস্ৰ কামনার বিষয়ে অমর। পরিবৃত রহিয়াছি । এই সকল ভোগই কি আমাদের তাবৎ ? ইহার মধ্যে কি অমর। সৰ্ব্ব-সুখদাতাকে কৃতজ্ঞতা উপহার দিতে পারিব না ? যেমন এই পৃথিবী নিঃশব্দে সুর্য্যকে প্রদক্ষিণ করিয়া আলোক লাভ করিতেছে, অমিরাও কি সেই ৰূপ হত চেতন হইয়া তাহীর প্রদত্ত কামনার বিষয়-সকল উপভোগ করিব ? না অামারদের কণ্ঠ হইতে ক্লতজ্ঞতা-দ্বনি উত্থিত হইয়। সমস্ত জগৎকে স্বনিত করিবে । ঈশ্বর হইতে যে বিচু্যত রহিয়াছে, সে মৃত্যুর অতীত শক্তিকে—সেই মৃত সঞ্জীবনী শক্তিকে আর হৃদয়ে অনুভব করতে পায় না । সে অমৃতের অভাবে এই জগৎ সংসারকে শ্মশান তুল্য বোধ করে । মৃত্যুর মুৰ্ত্তি দেখিয়া তাঙ্গর অমৃতের ভাব উদয় হয় না । সে শরীরের অস্থি চৰ্ম্ম মাংস ই দেখে-অন্তরের আত্মীকে দেখে না, তাঙ্কার নিকটে পরলোক প্রকাশ পায় না। সে মোহন্ধে হইয়া মনে করে, পৃথিবী পর্য্যন্তই জীবন—মৃত্যু হইল তো শেষ হইল । সে পৃথিবীতে কখন কখন পাপের জয় ধর্মের পরাজয় দেখিয়া ধৰ্ম্মাবহ পরমেশ্বরের অক্ষয় ন্যায় মনে করিতে পারে না । যেখানে ধৰ্ম্মাত্মার সকল দুঃখের অবসান হইবে, যেখানে অন্যায় অত্যাচারের শাসন হইবে,