পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দ্বিতীয় উপদেশ।

বেত্তারা পৃথিবীর আদিম অবস্থা যে প্রকার নিরূপণ করিয়াছেন, তাহা হইতে পৃথিবী এক্ষণে কত উন্নতাবস্থায় উপনীত হইয়াছে। আবার যদি কেবল এক মনুষ্য জাতির অবস্থা পর্য্যালোচনা করা যায়, তাহা হইলেও ঈশ্বরের মঙ্গল অভিপ্রায় স্পষ্ট প্রতিভাত হয়। মনুষ্য-জাতির অবস্থা সবিশেষ উন্নতিশীল। তাহাদের মধ্যে জ্ঞানের উন্নতি হইতেছে, ধর্ম্মের উন্নতি হইতেছে এবং সামাজিক অবস্থারও উত্তরোত্তর উন্নতি হইয়া আসিতেছে। মনুষ্য জাতির মধ্যে যেমন পৃথিবীতে উন্নতির আলোক প্রকাশ পাইতেছে; সেই প্রকার প্রতি মনুষ্য অনন্ত কালের মধ্যে যে কত উন্নত হইবে, তাহা কে বলিতে পারে? ঈশ্বর আমাদিগকে তাঁহাকে পাইবার এবং অনন্ত অখণ্ড নির্মলানন্দ লাভ করিবার প্রখর আশা দিয়াছেন; সেই সত্য পুরুষ আমারদিগকে এই প্রত্যাশা দিয়া কথন তাহা হইতে নিরাশ করিবেন না। যিনি একটি ক্ষুদ্র তৃণও নিরর্থক করেন নাই, যিনি ক্ষুধা দিয়া অন্নের সৃষ্টি করিয়াছেন এবং পিপাসা দিয়া জল পরিবেশন করিতেছেন, তিনি এমন মহতী আশা কখনও নিরর্থক দেন নাই। তিনি এই স্পৃহাকে এখনই তৃপ্ত করিতেছেন এবং অনন্তকাল পর্যন্তও তৃপ্ত করিতে থাকিবেন। তিনি মঙ্গল সঙ্কল্প এবং তাঁহার বিশ্বরাজ্য কেবলই উন্নতির ব্যাপার। কিন্তু তিনি যদি এই বিশ্বসংসারকে সংহার করিতে ইচ্ছা করেন, তবে তাঁহার সেই ইচ্ছাকে কে খণ্ডন করিতে পারে? তিনি সেতু-স্বরূপ হইয়া এই লোক সকলকে ধারণ না করিলে, তাহাদিগকে