পাতা:ব্রাহ্মধর্ম্মের মত ও বিশ্বাস - দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৬
ষষ্ঠ উপদেশ।

ভরশা, জ্ঞান ধর্ম্ম, সকলই এই সঙ্কীর্ণ স্থান ও সঙ্কীর্ণ কালেই বদ্ধ করিতে চাহে এবং মৃত্যুর সঙ্গেই তাহার আত্মার ধ্বংস ও বিনাশ ঘোষণা করে। সাবধান যেন তাহারদের উপদেশ-গরল কেহ প্রমাদ গ্রস্ত হইয়া ভক্ষণ না করেন।

 যাঁহারা ধর্ম্মের পথে দণ্ডায়মান আছেন এবং পুণ্য-পদবীতে আরোহণ করিতেছেন, তাঁহারা উক্ত প্রকার ভ্রমজালে কদাপি পতিত হয়েন না। পুণ্যের যে কি মনোহর মূর্ত্তি—ঈশ্বর-প্রীতি যে কি রমণীয় পদার্থ—ব্রহ্মানন্দ যে কি মহান্—ঈশ্বরের সহিত যে কি প্রকার চির-সম্বন্ধ। তাঁহারা ইহা পরীক্ষাতেই জানিতেছেন, বৃথা যুক্তিতে তাঁহারা ভুলিবার নহেন। একেতো আমাদের দেশ অধর্ম্মের আলয় হইয়াছে, তাহাতে বিজ্ঞান-শাস্ত্রও যদি নীচ হীন পাপ কলঙ্কিত হয়, উপদেষ্টাও যদি সেই রূপ হয়, গৃহীতাও যদি বিনীত ভাবে সেই সকল উপদেশ গ্রহণ করেন; তবে এদেশের মঙ্গল কোথায়? যাহারা এই প্রকার বিষম বিষয়ের উপদেশ প্রদান করেন, তাঁহারা বোধ হয় আপনারদের স্বভাবের প্রতি দৃষ্টি করিয়াই এই রূপ উপদেশ দিয়া থাকেন; অনন্ত কালের নিমিত্তে আমাদের আত্মার সহিত পরমাত্মার যে সম্বন্ধ আছে, তাহা তাঁহারা বিনাশ করিতে চাহেন। তাঁহাদিগকে এক প্রকার আত্মঘাতী বলিলেও বলা যায়। একবার পরীক্ষা করিয়া দেখ, ধর্ম্মের কি পবিত্র, প্রশান্ত ভাব—ভূমা ঈশ্বরেতে আমারদের কেমন আরাম—ব্রহ্মানন্দ কি সুগভীর, কি স্থায়ী; তবে আর ভ্রমপথের পথিক হইতে হইবে না। আমরা