পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So ভবিষ্যতের বাঙালী আমাদের আদশের সাধনা ব্যর্থ হ’বে না। আমরা যদি সত্যই নিজেদের প্ৰথমে ভারতবাসী এবং বাঙালী আর তারপর হিন্দু-সম্প্রদায়ভুক্ত কিম্বা মুসলমান-সম্প্রদায়ভুক্তরূপে ভাবতে শিখি এবং সেই ভাবের দ্বারা অনুপ্ৰাণিত হ’য়ে কাজ করতে শিখি এবং কথা ও কাজের দ্বারা সে আদর্শকে প্রচারিত এবং প্রতিষ্ঠিত করতে ঐকান্তিকভাবে যত্নবান হই, তা”হ’লে অদূর ভবিষ্যতে এই কালোপযোগী আদৰ্শই ভারতবর্ষে সেই একতা এবং আত্মীয়তাবোধের সৃষ্টি করবে, যার ফলে দেশময় প্রেমের প্ৰবাহ বাইবে এবং বর্তমানের সব অভাব, সব প্রয়োজন পরিপরিত হ’বে । আকবর এই আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হ’য়ে একদিন কাজ করেছিলেন, আর তার ফলে ভারতবর্ষে গৌরবময় মোগল-যুগের আবির্ভাব সম্ভবপর হয়েছিল । এখন ঘূদি আন্তরিকতার সঙ্গে এই আইেদৱে সুমথুনে প্রচাবু কাৰ্য্য এবং গঠনমূলক কাৰ্য্য চালান যায়, তা হ’লে নিশ্চয় অদর, ভবিষ্যতে অনুরূপ ফল পাওয়া যাবে- T এখন তৃতীয় এবং চতুর্থ প্রয়োজনের এক সঙ্গে আলোচনা করা যাক । নেতৃস্থানীয়দের মধ্যে সুমহান দায়িত্ববোধের অভাব হ’লে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়। আমরা নিত্য চােখের সামনে দেখতে পাচ্ছি, নেতৃবর্গের দায়িত্বজ্ঞানের অভাবে বহু মহামূল্য প্রচেষ্টা এবং আদর্শ বার্থতায় পৰ্য্যবসিত হ’চ্ছে । সার্থকতা যদি সত্যই আমাদের কাম্য হয়, তা’ হ’লে নেতৃবর্গের মধ্যে সুমহান দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তুলতে হ’বে ; অন্যা কথায়, সুমহৎ দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন প্রাক্স ব্যক্তিদের নেতৃত্বের গৌরবময় আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে হ’বে । এ কাজ অসম্ভব হ’বে না কৰ্ম্মীদের মধ্যে যদি প্ৰথর কৰ্ত্তব্যবোধ এবং স্বদেশানুরাগ ক্রিয়াশীল হয়। নেতারা তা’হ’লে দায়িত্বজ্ঞানের দ্বারা পরিচালিত হ’তে বাধ্য হবেন । কৰ্ত্তব্য জ্ঞানসম্প্রান্ন কম্মিবৃন্দ যদি