ভবিষ্ণুতের বাঙালী & R বোঝে না । বলা বাহাল্য, আর্থিক সঙ্কটের সম্ভাবনা দেখলেই এরা নূতন সুরে গাইতে আরম্ভ করবেন। এদেরই লেখা তখন আমাদের উদ্দেশ্যকে সার্থকতার পথে আগিয়ে দেবে। (ভারতের তথা বঙ্গদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণীই প্ৰথম রাজনৈতিক সমস্যার আলোচনা আরম্ভ করেন এবং রাজনৈতিক সংস্কার এবং পরিবর্তনের প্ৰচেষ্টায় আত্মনিয়োগ করেন। তঁদের মধ্যেই প্ৰথম পাশ্চাত্য শিক্ষা প্ৰবেশ লাভ করে।--আর তারই প্ৰভাবে প’ড়ে তারা ভারতের রাষ্ট্রীয় জীবনকে নূতন রূপ দেবার চেষ্টা করেন । বঙ্গদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর শিক্ষিত লোকেরা অধিকাংশই হয়। চাকুরীজীবী, নয়তো কোন না কোন প্রকারে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট । সুতরাং রাজনৈতিক আন্দোলন প্রথমতঃ এই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর চাকুরীজীবিদের অর্থনৈতিক স্বার্থের আলোচনাকেই প্রাধান্য দিতে থাকে। বৰ্ত্তমানে অবশ্য রাজনৈতিক আন্দোলন অনেকটা জনসাধারণের মধ্যেও পরিব্যাপ্ত হ’য়ে পড়েছে। বৰ্ত্তমানেওঁ কিন্তু রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতা এবং কৰ্ম্মীদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোক । সুতরাং স্বভাবতই শ্রেণীগত স্বার্থই তঁদের চক্ষে সব চেয়ে গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যারূপে দেখা দেয়। আর তাদের দৃষ্টিভঙ্গীর একদেশদর্শিতার ফলে ভারতের রাজনৈতিক জীবনে চাকুরীর ভাগবাটোয়ারাই সব সমস্যাকে কোণঠাসা ক’রে দেশের রাজনীতিকে তিক্ত এবং বিষাক্ত ক’রে তুলেছে। কেন না, চাকুরীর সংখ্যার একটা সীমা আছে। পক্ষান্তরে, উমেদারদের সংখ্যার কোন সীমা-পরিসীমা নাই । বিভিন্ন সম্প্রদায়ের উমেদারদের মধ্যে চাকুরীর বিভাগবণ্টন নিয়ে কাড়াকড়ি-ছেড়াছিড়ি হয়। উমেদারদের রাজনীতিক সমর্থকেরা উদ্দেশ্যসিদ্ধির জন্য এই কাড়াকড়ি-ছেড়াছিড়িকে অনাবশ্যক গুরুত্ব দিয়ে তাকে জটিল এক জাতীয় সমস্যায় পরিণত
পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৫৫
অবয়ব