পাতা:ভবিষ্যতের বাঙালী.djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኳምእs ভবিষ্যতের বাঙালী খলিফা আল মামুন স্বয়ং মোতা জেলা-মন্ত অবলম্বন করেছিলেন। তঁার যুগে মোতা জেলাবাদ রাজকীয় ধৰ্ম্মরূপে পরিগণিত হয় । তবে জনসাধারণ ছিল আচারপন্থী, গতানুগতিক, আর তাদের পথপ্রদর্শক ছিলেন সাধারণ মোল্লা মৌলুভির দল। তঁদের মধ্যে এবং মোতা জেলাবাদীদের মধ্যে বাদানুবাদ এবং পরে সংঘর্ষ চলতে লাগিল । রাজশক্তিও শেষে আচারপন্থী শক্তিশালী মোল্লা মৌলুভিদের হস্তগত হ’ল । মোতা জেলাবাদীদের উপর তখন ভীষণ উৎপীড়ন চলতে লাগিল । ফলে, মোতা জেলাবাদ শেষে মুসলিম-জগৎ থেকে বিতাডিক্ত হ’ল । সামাজিক এবং 7 রাষ্ট্ৰীয় জীবনে গতানুগতিক আচার-ধৰ্ম্ম একচ্ছত্র আধিপত্য লাভ করল । সংস্কারের কাল মেঘে মোসলেম-জগৎ | এই সময়েই কিন্তু নূতন এক ভাবধারা এসে আবার মুসলিম জগৎকে সঞ্জীবিত ক’রে তুলল। এই ভাবধারাকে সুফিবাদ বলা হ’য়ে থাকেঁ । মোতা জেলাবাদীরা তঁাদের সাধনাকে প্ৰতিষ্ঠিত করেছিলেন চিন্তা এবং যুক্তির উপর। সুফিরা তাদের সাধনাকে প্রতিষ্ঠিত করলেন প্রেম এবং প্রেরণার উপর । মোতা জেলাবাদীরা বিজ্ঞান এবং দর্শনের সাহায্যে সত্যের পথে অগ্রসর হ’তে চেষ্টা করেছিলেন। আর সুফিরা প্ৰেম এবং আবিলতামুক্ত অন্তরে প্রাপ্ত ঐশ্বরিক প্রেরণার সত্যস্বরূপ এবং সৌন্দৰ্য্যস্বরূপ খোদার মিলনের পথে অগ্রসর হবার চেষ্টা করলেন। র্তাদের এই প্ৰচেষ্টার ফলে মোসলেম জগতে এক অভিনব ভাবধারা, অভিনব এক সাধন-ধারা এসে দেখা দিয়েছিল। ফলে মরণোন্মুখ মুসলিম সভ্যতা আবার নূতন জীবন লাভ করেছিল। সুফিদের সাধন-ধারা মহাপুরুষদের প্রবর্হিত বিভিন্ন সাধন-পদ্ধতিতে আত্মপ্ৰকাশ করেছে। এই সাধন-পদ্ধতিগুলিকে এক একটী তরিক বা পন্থা বলা হ’য়ে থাকে ।