পাতা:ভানুসিংহের পত্রাবলী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০৪
ভানুসিংহের পত্রাবলী

বাক্স তোরঙ্গ নানা আকার ও আয়তনের এবং সঙ্গে সঙ্গে চ’লেচেন আমাদের ভাগ্যদেবতা; তাঁকে টিকিট কিন্‌তে হয়নি। সান্তাহার ষ্টেশনে আসাম মেলে চ’ড়্‌লুম, এম্‌নি ক’সে ঝাঁকানি দিতে লাগ্‌লো-যে, দেহের রস-রক্ত যদি হ’তো দই, তা হ’লে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রাণটা তা’র থেকে মাখন হ’য়ে ছেড়ে বেরিয়ে আস্‌তো। অর্দ্ধেক রাত্রে বজ্রনাদ সহকারে মুষলধারে বৃষ্টি হ’তে লাগ্‌লো। গৌহাটির নিকটবর্ত্তী ষ্টেশনে যখন খেয়া-জাহাজে ব্রহ্মপুত্রে ওঠা গেল তখন আকাশ মেঘে আচ্ছন্ন কিন্তু বৃষ্টি নেই। ওপারে গিয়েই মোটরগাড়িতে চ’ড়্‌বো ব’লে খেয়ে-দেয়ে সেজে-গুজে গুছিয়ে-গাছিয়ে ব’সে আছি—গিয়ে শুনি, ব্রহ্মপুত্রে বন্যা এসেছে ব’লে এখনো ঘাটে মোটর নামাতে পারেনি। এদিকে বলে, দুটোর পরে মোটর ছাড়্‌তে দেয় না। অনেক বকাবকি দাপাদাপি ছুটোছুটি হাঁক্‌ডাক ক’রে বেলা আড়াইটের সময় গাড়ি এলো। কিন্তু সময় গেল। তীরের কাছে একটা শূন্য জাহাজ বাঁধা ছিল, সেইটেতে উঠে মুটের সাহায্যে কয়েক বাল্‌তি ব্রহ্মপুত্রের জল তুলিয়ে আনা গেল;—স্নান কর্‌বার ইচ্ছা। ভূগোলে পড়া গেছে—পৃথিবীর তিন