এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৪
ভানুসিংহের পত্রাবলী
তা’র চাপে আমাকে একেবারে রোগা ক’রে দেয়। সম্প্রতি কিন্তু কাজ করাটাই আমার ঘাড়ে চেপেচে, তাই সেই নাটকটা আর এক অক্ষরও লিখ্তে পারিনি। এই গোলমালের মধ্যে যদি লিখ্তে যাই আর যদি তাতে গান বসাই তবে তা’র ছন্দ আর মিল অনেকটা তোমার শিশু-মহাভারতেরই মতো হ’য়ে উঠ্বে। চিঠিতে যে-ছবি এঁকেচো—খুব ভালো হ’য়েচে। মেয়েটিকে দেখে বোধ হ’চ্চে—ওর ইস্কুলে যাবার তাড়া নেই, ঘরকন্নার কাজের ভিড়ও বেশি আছে ব’লে মনে হ’চ্চে না; ওর চুলের সমস্ত কাঁটা রাস্তায় প’ড়ে গেছে, আর “গহনা ওয়ছনা” “চুনারি উনারি”র কোনোও ঠিকানা নেই। “কদু”র ভিতর থেকে-যে “দুল্হীন” বেরিয়ে এসেছিলো এ মেয়ে বোধ হয় সে নয়, এর নাম কী লিখে পাঠিয়ো। ইতি ৯ অগ্রহায়ণ, ১৩২৫।
২৭
শান্তিনিকেতন
আজকের তোমাকে সব খবরগুলি দেওয়া যাক্। অনেক দিন পরে আজ আমার ইস্কুল খুলেচে, আজ