পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ্ত্তমান সমস্ত । কণ্ঠত্ত্বে, প্রতিভা চৰ্ব্বিতচৰ্ব্বণে, এবং সৰ্ব্বোপরি গৌরব কেবল পিতৃপুরুষের নামকীৰ্ত্তনে ; সে দেশ তমোগুণে দিন দিন ডুবিতেছে, তাহার কি প্রমাণাস্তর চাই ? - অতএব সত্ত্বগুণ এখনও বহুদূর । আমাদের মধ্যে যাহার পরমহংস পদবীতে উপস্থিত হইবার যোগ্য নহেন বা ভবিষ্যতে আশা রাখেন, তাহাদের পক্ষে রজোগুণের আবির্ভাবই পরম কল্যাণ । রজোগুণের মধ্য দিয়া ন যাইলে কি সত্ত্বে উপনীত হওয়া যায় ? ভোগ শেষ না হইলে যোগ কি করিবে ? বিরাগ ন হইলে ত্যাগ কোথা হইতে আসিবে ? অপর দিকে তালপত্ৰবহ্নির ন্যার রজোগুণ শীঘ্রই নিৰ্ব্বাণোন্মুখ, সত্ত্বের সন্নিধান নিত্যবস্তুর নিকটতম, সত্ত্ব প্রায় নিত্য, রজোগুণপ্রধান জাতি দীর্ঘজীবন লাভ করে না, সত্ত্বগুণপ্রধান যেন চিরজীবী ; ইহার সাক্ষী ইতিহাস । ভারতে রজোগুণের প্রায় একান্ত অভাব ; পাশ্চাত্যে সেই প্রকার সত্ত্বগুণের । ভারত হইতে সমানীত সত্ত্বধারার উপর পাশ্চাত্য জগতের জীবন নির্ভর করিতেছে নিশ্চিত, এবং নিম্নস্তরে তমোগুণকে পরাহত করিয়া রজোগুণ প্রবাহ প্রবাহিত না করিলে আমাদের ঐহিক-কল্যাণ, যে সমুৎপাদিত হইবে না ও বহুধা পারলৌকিক কল্যাণের বিপ্ন উপস্থিত হইবে, ইহাও নিশ্চিত । এই দুই শক্তির সম্মিলনের ও মিশ্রণের যথাসাধ্য সহায়তা করা “উদ্বোধনের” জীবনোদেশু । যদ্যপি ভয় আছে যে, এই পাশ্চাত্যবীৰ্য্যতরঙ্গে আমাদের বহুকালাজ্জিত রত্বরাজি বা ভাসিয়া যায় ; ভয় হয়, পাছে প্রবল

  • k a