পাতা:ভাববার কথা - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পারি-প্রদর্শনা । শিলার প্রাকৃতিক প্রতিরূপ । অতএব প্রথমে বৌদ্ধ-পূজিত হইয়া, বৌদ্ধ মতের অন্তান্ত অঙ্গের ন্যায়, বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে প্রবেশ লাভ করিয়াছে। অপিচ নম্মদাকুলে ও নেপালে বৌদ্ধপ্রাবল্য দীর্ঘস্থায়ী ছিল । প্রাকৃতিক নৰ্ম্মদেশ্বর শিবলিঙ্গ ও নেপালপ্রস্থত শালগ্রামই যে বিশেষ সমাদৃত, ইহাও বিবেচ্য। শালগ্রাম সম্বন্ধে যৌন-ব্যাখ্যা অতি অশ্রুতপূৰ্ব্ব এবং প্রথম হইতেই অপ্রাসঙ্গিক ; শিবলিঙ্গ সম্বন্ধে যৌন-ব্যাখ্যা ভারতবর্ষে অতি অৰ্ব্বাচীন এবং উক্ত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ঘোর অবনতির সময় ংঘটিত হয় । ঐ সময়ের ঘোর বৌদ্ধ তন্ত্র সকল এখনও নেপালে ও তিব্বতে খুব প্রচলিত । অন্ত এক বক্তৃত স্বামীজি ভারতীয় ধৰ্ম্মমতের বিস্তার বিষয়ে দেন । তাহাতে বলা হয় যে, ভারতখণ্ডের বৌদ্ধাদি সমস্ত মতের উৎপত্তি বেদে । সকল মতের বীজ তন্মধ্যে প্রোথিত আছে । ঐ সকল বীজকে বিস্তৃত ও উষ্মীলিত করিয়া বৌদ্ধাদি মতের স্বষ্টি । আধুনিক হিন্দুধৰ্ম্মও ঐ সকলের বিস্তার—সমাজের বিস্তার ও সঙ্কোচের সহিত কোথাও বিস্তৃত, কোথাও অপেক্ষাকৃত সঙ্কুচিত হইয়া বিরাজমান আছে । তৎপরে স্বামীজি শ্রীকৃষ্ণের বুদ্ধ-পূর্ববৰ্ত্তিত্ব সম্বন্ধে কিছু বলিয়া পাশ্চাত্য পণ্ডিতদের বলেন যে, যে প্রকার বিষ্ণুপুরাণোক্ত রাজকুলাদির ইতিহাস ক্রমশঃ প্রত্নতত্ত্ব উদঘাটনের সহিত প্রমাণীকৃত হইতেছে, সেই প্রকার ভারতের কিংবদন্তী সমস্ত সত্য । বৃথা প্রবন্ধ কল্পনা না করিয়া পাশ্চাত্য পণ্ডিতেরা যেন উক্ত কিংবদন্তীর রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করেন । পণ্ডিত মোক্ষমূলর এক পুস্তকে লিখিতেছেন যে যতই সোসাদৃশু থাকুক না কেন, ૨૭