পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ভারতকোষ

অওঘড়, -র দশনামী সম্প্রদায়ের ব্রহ্মগিরি নামে জনৈক সন্ন্যাসী গােরক্ষনাথের দ্বারা প্রভাবিত হইয়া অওঘর বা অওঘড় সম্প্রদায় প্রবর্তন করেন। গুজরাট অঞ্চলে ইহাদের গদি আছে কিন্তু শিষ্য-পরম্পরা নাই। গদির মােহস্তের মৃত্যু হইলে সন্ন্যাসীদের মধ্যে একজনকে বিশেষ ক্রিয়ানুষ্ঠানের পর মােহন্তপদে অধিষ্ঠিত করা হয়। সম্প্রদায়ের মতবাদ সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় না, তবে সুখড়, রুথড়, গুড়, ভূখড়, কুকড় ইত্যাদি ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের আচার-অনুষ্ঠানের সহিত সাদৃশ্য আছে।

দ্র অক্ষয়কুমার দত্ত, ভারতবর্ষীয় উপাসক-সম্প্রদায় ১৮৭৩, sobo st; H. H. Wilson, Religious Sects of teh Hindus, Calcutta, 1958.


অংশুবৰ্মা অংশুবর্মা নেপালের লিচ্ছবিরাজ শিবদেবের সময় মহাসামন্ত ছিলেন। শিবদেব নামেমাত্র রাজা ছিলেন, সমস্ত ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন অংশুবর্মা। আভীরগণ সাময়িক ভাবে নেপাল দখল করিয়া লইলে, অংশুবৰ্মাই স্বীয় বীর্যবলে তাহা পুনরুদ্ধার করেন। ইহাতে তাহার প্রভাব ও প্রতিপত্তি আরও বৃদ্ধি পায় এবং সমস্ত শাসনক্ষমতা তঁাহার হাতে চলিয়া আসে। অবশেষে তিনি নিজ নামেই রাজত্ব করিতে থাকেন। হিউএন্-ৎসা-এর মতে অংশুবমা ছিলেন বিখ্যাত পণ্ডিত ; তিনি সংস্কৃত ব্যাকরণ রচনা করিয়াছিলেন। সম্ভবতঃ ৬০৮-৬২৫ খ্রী পর্যন্ত তিনি নেপালের সর্বময় কর্তা ছিলেন।

R. C. Majumdar and A. D. Pushalkar, History and Culture of teh Indian People, vol. III, Bombay, 1954.

শচীন্দ্রকুমার মাইতি
অকলঙ্ক অকলঙ্ক বা অকলঙ্কদেব সমস্তভদ্রের সমসাময়িক একজন বিখ্যাত জৈন নৈয়ায়িক। কুমারিলভট্ট বহু স্থলে অকলঙ্কদেবকে ভৎসনা করিয়াছেন। কিন্তু বিদ্যানন্দ পাত্রকেশরী ও প্রভাচন্দ্র অকলঙ্কদেবকে সমর্থন করিয়া কুমারিলভট্টের মত খণ্ডন করিয়াছেন। শুভচন্দ্র পাণ্ডবপুরাণের প্রারম্ভিক শ্লোকাবলীতে নৈয়ায়িক হিসাবে
অকলঙ্কদেবের প্রশংসা করিয়াছেন। রাষ্ট্রকূটের রাজা সাহসতুঙ্গদস্তিদুর্গের রাজত্বকালে আনুমানিক অষ্টম শতাব্দীর মধ্যভাগে অকলঙ্কদেব জীবিত ছিলেন। তিনি উমাস্বামীর তত্ত্বার্থাধিগমসূত্রের তত্ত্বার্থরাজবাতিক নামে একটি এবং সমস্তভদ্রের আপ্তমীমাংসার উপর অষ্টশতী নামে একটি টীকা প্রণয়ন করিয়াছিলেন। তাহা ছাড়া, ন্যায়বিনিশ্চয়, লঘীয়স্ত্রয় ও স্বরূপসম্ভোধন নামে তিনখানি জৈন ন্যায়গ্রন্থও তঁাহার রচনা। বাদিরাজ (দ্বিতীয়) তাহার ন্যায়বিনিশ্চয় গ্রন্থের একটি টীকা লিখিয়াছিলেন।

M. Winternitz, History of Indian Literature, vol. II, 1931.

সত্যরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

অকল্যাণ্ড (১৭৮৪-১৮৪৯ খ্ৰী ) ১৮৩৬ খ্ৰীষ্টাব্দের ৪ মার্চ তিনি ভারতবর্ষের গভর্নর-জেনারেল পদ গ্রহণ করেন। ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে রুশভীতির যে প্রভাব ছিল তাহা বিনষ্ট করিবার জন্য অকল্যাণ্ড ব্রিটিশ মন্ত্রণাসভার নিকট হইতে যথাযথ নির্দেশ পান। তিনি আফগানিস্থানে বার্নেসের নেতৃত্বে এক বাণিজ্যিক মিশন প্রেরণ করেন। বার্নেসের আসল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক ।আফগানিস্থানের আমির দোস্ত মহম্মদ ১৮৩৭ খ্রীষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে কাবুলে রুশ অফিসার ভিকেভিচকে গ্রহণ করায় অক্ল্যাও ভীত ও সন্ত্রস্ত হন। তিনি দোস্ত মহম্মদকে আমির পদ হইতে অপসারণের জন্য কৃতসংকল্প হইলেন। ১৮৩৯ খ্রীষ্টাব্দে ব্রিটিশের সাহায্যে শাহ, সুজা আফগানিস্থানে সমরাভিযান করিয়া তথাকার আমিরপদ গ্রহণ করেন। আফগানগণ ইহার তীব্র প্রতিবাদ জানায়; বার্নেস এবং ব্রিটিশ রেসিডেন্ট ম্যাকনাটেনকে তাহার নৃশংসভাবে হত্যা করে। ভারতে প্রত্যাবর্তনের পথে ব্রিটিশ সৈন্য ধ্বংস হয়। ইহাতে ভারতে ব্রিটিশ সরকারের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। ১৮৪২ খ্রীষ্টাব্দের ১২ মার্চ অকল্যাণ্ড ভারতবর্ষ পরিত্যাগ করেন।

শৈলেন্দ্রনাথ সেন

অকসস অন্য নাম আমূ-দরিয়া। রুশীয় তুর্কীস্থান তথা মধ্য এশিয়ার প্রধান নদী। উৎপত্তিস্থল পামীর