পাতা:ভারতবর্ষের ভূগোল বৃত্তান্ত.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇళ ভারতবর্ষের ভূগোল রক্তান্ত । কহিয়াছেন, ইহার গ্রন্থন কৌশল অতীব অস্তুত, বলিতে কি ইহা গ্ৰীক অপেক্ষা সুসম্পন্ন, লাটন অপেক্ষ সুবিস্তুত এবং উভয় ভাষাপেক্ষা সম্প, সংশোধিত । সমান্যতঃ কথোপকথনে যে ভাষা ব্যবহৃত তাহাকে প্রাক্কত ভাষা কহে। প্রাকত ভাৰ সংস্কৃত হইতেই উৎপন্ন। প্রাকৃত শব্দের প্রকৃত অর্থ প্রচলিত। সংস্কৃত (সহপূর্ণরূপে সংশোধিত ) কেবল বিদ্বান জনগণ কর্তৃক লিপিতেই ব্যবহৃত হইয় থাকে। উপর হিন্দুস্থানের প্রধান মাতৃভাষা হিন্দী, বাঙ্গলা, পঞ্জাবী, মাহাট্টা, গুজরাটা, কচ্ছী, বুন্দেলী, ব্রজভাষা, উড়িয়া ও আসামী । দক্ষিণ হিন্দুস্থানে তিলগু বা তৈলঙ্গী, তামল, কানারী, মালাই এবS সিংহলী ভাষাই প্রধান কল্প। এই সমস্ত ভাষার মধ্যে শেষোক্ত ভাষাগুলিন অপেক্ষ প্রথমোক্ত ভাষাগুলিতে সমধিক সংস্কৃত শব্দ প্রচলিত থাকাতে বিলক্ষণ সপ্রমাণ হইতেছে যে আদিনিবাসিদিগের মূল ভাষার সহিত সংস্কৃত মিলিত হইয়। এ সমস্ত ভাষার স্বষ্টি হইয়াছে। সমুদায় ভারতবর্ষ ব্যাপিয়া মুসলমানদিগের মধ্যে উর্দু এবং উপর হিন্দুস্থানিদের মধ্যে হিন্দি ভাষা প্রচলিত। পারস্য এবং আরব্য শব্দের অধিলশ মিশ্ৰিত প্রযুক্ত হিন্দী অথবা হিন্দুস্থানী ভায় হইতে উর্দু ভাষার বিস্তর বৈলক্ষণ্য বোধ হয়, বিশেষতঃ ཙི་རྩ་། পারদিক অক্ষরে লিখিত হইয়া থাকে, পস্তু এবS সিন্ধী ভাষার রচনা মধ্যেও অনেক আরব্য কথা ও প্রবিষ্ট হইয়াছে। ধৰ্ম্ম । ভারতবর্ধ-বাসিদিগের পাঁচ ভাগের প্রায় চারি ভাগ হিন্দু। ইহার প্রায় তাবতেই ব্রাহ্মণ-ধৰ্ম্মাবলম্বী, কিন্তু ईদিগের মধ্যে নানা মত ও বিবিধ প্রণালী ভেদও দৃষ্ট হয়,