পাতা:ভারতবর্ষের ভূগোল বৃত্তান্ত.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88, ভারতবর্যের ভূগোল রন্তান্ত। অর্থাৎ সম্প, রূপে চিন্তা বিহীনতা ও ইন্দ্রিয় সুখ দুঃখাদি হইতে বিমুক্ততাকেই ইহার পরম সুখজনক চরম-ক্তি লাভ বলিয়া জ্ঞান করে। ব্রাহ্মণদিগের অনুরূপ ইহাদিগের অনেক সাহিত্য গ্রন্থ আছে এবং সে সমুদায়ই ভারতবর্ষ হইতে উৎপন্ন। বৌদ্ধদিগের প্রায় সমুদায় ধৰ্ম্মলিপি পালি ভাষায় লিখিত । o জৈন, জৈনেরা ব্রাহ্ম এবং বুদ্ধ এতদুভয় ধৰ্ম্মাবলম্বিগণের মধ্যবর্তি। ইহার বৌদ্ধদিগের সহিত ঐক্যবাক্যতায় জগদীশ্বরের সত্তা কিম্বা উহার কর্তৃত্ব এবং পালনকারিত্বের অণুমাত্রও স্বীকার করেন । বস্তুর নিত্যত স্বীকার করে, দেবত্বপ্রাপ্ত সাধুগণের পূজা করে, জীবছিৎসা মহা পাপ জ্ঞান করে, পুরুষানুক্রমে পুরোহিত হওয়া ও বেদের প্রাধান্য স্বীকার করা অকৰ্ত্তব্য বোধ করিয়া থাকে । কোন প্রকার বলিদান কিম্বা অগ্নির অচ্চন করা বিহিত বিবেচনা করেন এবs বিষয়ে নিলিপ্ততারূপ অসাধ্য ব্যাপারকে পরম সুখকর বলিয়া অনুভব করে। তাহারা জাতিভেদ মনে, হিন্দু দেবতাদিগকে সত্ৰম করে বরঞ্চ তন্মধ্যে কতকের পূজাও করিয়া থাকে, অথচ তাহারা বিবেচনা করে যে তাহাদিগের যে সকল সালোক কঠোর তপস্যা করিয়া দেবগণ অপেক্ষা মহোচ্চপদ প্রাপ্ত হইয়াছেন তাহারাই তাহাদিগ্নের প্রধান উপাস্য, সুতরাং দেবতারা ভঁাহাদের হইতে নূ্যন কণপ। ঐ সকল ধৰ্ম্মাত্মারা তির্গঙ্কর নামে পরিচিত, তন্মধ্যে চতুৰ্ব্বিংশতি গত কালের, চতুৰ্ব্বিংশতি বর্তমানের এবং চতুৰ্ব্বিংশতি ভবিষ্যতের আরাধ্য। বর্তমান কালের প্রথম তির্গঙ্কর ঋষভ কোন কোন স্থানে সমধিক পুজ্য, কিন্তু ত্রয়োবিংশ তিথঙ্কর পরশুনাথ