পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৮৯

সহচরিত নানা দেবদেবীর আখ্যানে ও বিষ্ণুর নানা অবতারের নানা চিত্র ও মনুষ্যলোকে অবতার দশায় তাঁহার লৌকিক চরিতাবলীর নানাবিধ মহত্ত্বে পরিপূর্ণ। এই সমস্ত নানা আখ্যানের মধ্য দিয়া বিষ্ণু-শিব-পাৰ্বতী ও লক্ষ্মীর নানা আবির্ভাবের মধ্য দিয়া নানাবিধ আধ্যাত্মিক ভাব কল্পিত হইয়াছে। পৌরাণিক ধর্মের মর্মকথা আধ্যাত্মিক ও লৌকিক জ্ঞান সমাধি প্রজ্ঞা ও ভক্তি প্রভৃতির মধ্য দিয়া প্রকাশিত হইয়াছে; নানা আখ্যানের মধ্য দিয়া, নানা রূপকের মধ্য দিয়া সৃষ্টি ও প্রলয়ের, জন্ম ও মৃত্যুর সনাতন লীলা-কাহিনী হৃদ্যভাবে বর্ণিত হইয়াছে। হিন্দু দেবদেবীর যে সমস্ত প্রতিমা শিল্প পাওয়া যায় সেগুলির সমালোচনা করিয়া শিল্পকলার নৈপুণ্যের দিক হইতে তাহা বিচার করিবার অবসর আমাদের বর্তমান গ্রন্থে নাই। আমরা এইমাত্র বলিতে পারি যে সাঁচী-অমরাবতী ও অজন্তার শিল্পীদের সগোত্রেরা তাঁহাদের পূর্বাভ্যস্ত শিল্প-বিদ্যার দ্বারা পৌরাণিক কল্পনাগুলিকে রূপ দিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। ইলোরা ও মহাবলীপুরে এই শিল্পের অতি উৎকৃষ্ট নিদর্শন পাওয়া যায়। দাক্ষিণাত্যে শৈবধর্ম বিশেষ প্রভাব লাভ করিয়াছিল। সেইজন্য নানা জাতীয় শিবমূর্তি ও শিবাখ্যানে দক্ষিণ দেশীয় শিল্প পরিপূর্ণ। মাদ্রাজ মিউজিয়ামে রক্ষিত নটরাজ-মুর্ত্তি পর্যবেক্ষণ করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে হিন্দুরা কি ভাবে জীবনের নৃত্যের মধ্যে জন্ম-মৃত্যুর লীলাকে অত্যন্ত সমভাবে সমাহিত করিয়া দেখিতে শিখিয়াছিলেন। হিন্দু বলেন যে সেই মহা-