পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১২৫

বস্তুতে আমরা দেখি কেবলমাত্র কয়েকটী রেখার সন্নিবেশ বা বর্ণসন্নিবেশ। এই রেখা কয়েকটীর সন্নিবেশ এবং বর্ণ-সন্নিবেশের সহিত প্রকৃত মৃগের সাদৃশ্য কোথায়? জয়ন্ত বলিয়াছেন সদৃশ-প্রতীতি-হেতু যাহা তাহাই সাদৃশ্য। কিন্তু সদৃশ-প্রতীতির কি হেতু তাহা নির্ণয় করিতে কোন চেষ্টা করেন নাই। কেন কয়েকটা রেখার দ্বারা মাংসবহুল স্থূল সজীব একটা মৃগকে আমরা ফুটাইয়া তুলিতে পারি ইহার তত্ত্বের কোনও ব্যাখ্যা দেখা যায় না। আমাদের মন যে ভাবে প্রকৃত বস্তুকে গ্রহণ করে তাহার মধ্যে এমন একটা গ্রহণ বর্জনের রীতি আছে যাহা আমাদের জ্ঞাত চেতনার অন্তরালে আপন ব্যাপার সম্পাদন করিয়া থাকে। বাহ জগৎ জড়, রূপ-বহুল, স্পর্শযোগ্য, কঠিন ও ঘাত-প্রতিঘাত-সহ। তাহার সহিত জ্ঞান পথে যে আমাদের পরিচয় হয় তাহাতে তাহার সেই সম্পূর্ণ রূপ জ্ঞানাকারের মধ্যে গৃহীত হইতে পারে না। কারণ জ্ঞানের মধ্যে স্থৌল্যাদি কোনও ধর্ম্ম নাই। কোনও বস্তু গ্রহণ সময়ে আমাদের চিত্তের মধ্যে সেই বস্তু যে কতকগুলি বিশেষ বিশেষ তদনুরূপ সম্বন্ধ-পরম্পরা উৎপন্ন করে তাহাই আমাদের জ্ঞানের মধ্যে বিধৃত হইয়া থাকিতে পারে। যখন পূর্বপরিচিত বন্ধুকে দেখিয়া মনে হয় “এই যে তিনি”তখন তাঁহার দর্শনের দ্বারা আমাদের অন্তরস্থ সংস্কার উদ্বুদ্ধ হইয়া আমাদের মধ্যে তাঁঁহার অবয়বাদির যে সামঞ্জস্য গৃহীত হইয়াছিল তাহাকে প্রকাশিত করে। এবং তাহারই বলে অদৃষ্ট ও দৃষ্টের যে পরিচয় ঘটে তাহা দ্বারাই আমার বন্ধুকে আমি চিনিতে পারি। ভারতীয় দার্শনিকেরা