পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৪১

জ্ঞানবাংশ্চ তথা বাগ্মী কর্মসুপরিনিষ্ঠিতঃ
এবং যুক্তোহপি ন শ্রেয়ান যদি শীলবিবর্জ্জিত।
রোষাদ্ দ্বেষাৎ তথা লোভান্ মোহাদ্রাগাং তথৈবচ
অন্যচিত্তত্বমায়াতি দৌঃশীলস্যাপরিক্ষয়াৎ
শীলবান্ পূজিতে লোকে শীলবান্ সাধুসম্মতঃ
শীলবান্ সর্বকর্ম্মাহঃ শীলবান্ প্রিয়দর্শনঃ।
শীলাধানে পরং যত্নমাতিষ্ঠেৎ স্থপতিঃ সদা।
ততঃ কর্ম্মাণি সিধ্যন্তি জনয়ন্তি শুভানি চ। পৃঃ—২৩৬

 সাধারণত অনেকের বিশ্বাস যে আমাদের দেশে শিল্পীদের কোন শারীরজ্ঞান বা anatomical knowledge থাকিত না এবং এই জ্ঞান অর্জন করাও তাহারা আবশ্যক মনে করিতেন না। এই ধারণা যে সম্পূর্ণ ভ্রমাত্মক তাহা পূৰ্বোদ্ধত শ্লোকে প্রমাণিত হয়; কারণ ঐ শ্লোকে শিরাশাস্ত্র শিল্পীদিগের একটি বিশেষ অধোতব্য শাস্ত্র বলিয়া পরিগণিত হইয়াছে। পূর্বে যাহা বলা হইয়াছে তাহার সহিত পূর্ব্বোদ্ধত শ্লোকগুলি মিলাইলে আমাদের দেশের শিল্পপদ্ধতি সম্বন্ধে একটি সাধারণ ধারণা সহজেই উৎপন্ন হইতে পারে এরূপ আশা করা যায়। শিল্পী প্রথমতঃ তাহার বিশেষ প্রতিভার দৃষ্টিতে জগতের যাবতীয় বস্তুকে তাহাদের যথাস্থিত অবস্থায় দেখিতে অভ্যস্ত হইবেন এবং শিল্পশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, স্থপতিশাস্ত্র প্রভৃতি আয়ত্ত করিয়া নিজের জ্ঞান বৃদ্ধি করিবেন। আত্মসংযমের দ্বারায় চিত্তকে ধ্যেয় বস্তুতে সমাধিসমাপন্নভাবে চিত্তের সম্মুখে স্থির ও দৃঢ় করিয়া রাখিতে শিখিবেন। চিত্তসংযম