পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
১৫৯

রূপটী ফুটিয়া উঠে সেই রূপটী প্রতিভাদ্বারা সৃষ্ট এবং তাহার সৌন্দর্য্য প্রতিভাদ্বারা দৃষ্ট। এই জন্যই এই সৃষ্ট রূপটী ও তাহার সৌন্দর্য্যের কি জাতীয় সত্তা তাহা অন্য কোন ইন্দ্রিয়দ্বারা নির্দেশ করিতে না পারিলেও প্রতিভেন্দ্রিয় দ্বারা তাহার সত্তা ও সত্যত্ব সম্বন্ধে আমরা নিঃসন্দেহ হইতে পারি। পৃথিবীতে আমরা যে সমস্ত বস্তু দেখি, রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ-শব্দ তাহা একত্র মিলাইয়া সেই বস্তুর কি স্বরূপ হয় তাহা আমরা আনুমানও করিতে পারি না, কল্পনাও করিতে পারি না। প্রাণি-জগতের ইতিহাস দেখিলে দেখা যায় যে বিভিন্ন প্রাণি-শরীরে বিভিন্ন জাতীয় ইন্দ্রিয়, পরম্পরাক্রমে উদিত হইয়াছে। এইজন্য মানুষের মধ্যে পাঁচটী ইন্দ্রিয় উৎপন্ন হইলেও এই পঞ্চেন্দ্রিয়ের এরূপ আন্তরিক সমাহার নাই যাহাদ্বারা প্রতি ইন্দ্রিয়ের অবিচ্ছিন্ন বোধ ছাড়া সমস্ত ইন্দ্রিয়ের একটী সমাহৃত বোধ আমাদের মধ্যে উপস্থাপিত করিতে পারে। প্রত্যেক ইন্দ্রিয় তাহার স্বজাতীয় বোধ লইয়াই ব্যস্ত; অন্য জাতীয় বোধের মধ্যে তাহার কোন অনুপ্রবেশ হয় না। কাজেই সর্ব্বেন্দ্রিয় সমাহৃত জ্ঞানের বিষয়ীভূত বস্তুস্বরূপ কীদৃশ সে সম্বন্ধে আমাদের কোন ধারণা নাই। প্রতি ইন্দ্রিয়ের পৃথক্‌ পৃথক্ জ্ঞানবিষয়ীভূত জ্ঞেয় বস্তুগুলিকে সংস্কারবশে বাহ্যভাবে মিলিত করিয়া আমরা বস্তুরূপে ব্যবহার করি; এই পঞ্চেন্দ্রিয় ছাড়া যদি প্রতিভেন্দ্রিয় বলিয়া একটী ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় মানা যায় তবে তাহার জ্ঞানবিষয়ীভূত জ্ঞেয়কেও অন্য জ্ঞেয়ের ন্যায়ই আমরা মনে করিতে পারি। বাক্যপদীয়ে লিখিত আছে—যে