পাতা:ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ভারতীয় প্রাচীন চিত্রকলা
৫৫

লীলা যখন আমাদের চিত্তের সহিত অনুগতভাবে বা পরিচিতভাবে আত্মপ্রকাশ করে তখন তাহা হইতে অবয়ব সামঞ্জস্যের সৌন্দর্য্য বা Symmetry of forms ফুটিয়া ওঠে। আমরা আমাদের দুই চক্ষু মেলিয়া জড়জগতে, প্রাণিজগতে, উদ্ভিজ্জগতে নিরন্তর নানাবিধ অবয়ব-সন্নিবেশ, বহিরাকাশের নানা সংস্থান দেখিতেছি। এই প্রকৃতির মধ্যে অবয়ববিন্যাসের বা রেখাবিন্যাসের যে সামঞ্জস্য আমাদের চিত্তের মধ্যে গ্রথিত হইয়া যাইতেছে তাহাতেই আমাদের চিত্তের মধ্যে সামঞ্জস্যের বোধ উৎপন্ন করিতেছে। একদিকে যেমন এই সামঞ্জস্য কেবলমাত্র আকাশ-সন্নিবেশের বা রেখাসন্নিবেশের, অপরদিকে তেমন যেন রূপসন্নিবেশের মধ্য দিয়াও তাহার একটি নূতন স্বতন্ত্রতা ফুটিয়া উঠিয়াছে। এই রূপসন্নিবেশ বা অবয়ব-সন্নিবেশ আবার পারিপার্শ্বিক অন্য বস্তুর সহযোগে বা বিয়োগে, আলোছায়ার অসংখ্যেয় পরিবরির্ত্তনের মধ্য দিয়া আপনাকে নূতন নূতন রূপে প্রকাশ করিতেছে। মানুষের এমন কি ইতবপ্রাণীর মধ্যে ভাবসন্নিবেশের সহিত যুক্ত হইয়া এবং শরীর ও মনের সহিত যে অসংখ্যেয় সম্বন্ধপরম্পরা রহিয়াছে তাহার সহিত যুক্ত হইয়া সামঞ্জস্যের নব নব ভূমি সৃষ্টি করিতেছে। পৃথক্ পৃথক ভাবে দেখিতে গেলে কেহ হয় ত রেখাসন্নিবেশের সামঞ্জস্যের দিকে বেশী দৃষ্টি দিবেন, কেহ বা অবয়বসন্নিবেশের দিকে, কেহ বা বর্ণসন্নিবেশের দিকে, কেহ বা ভাবাভিব্যঞ্জনার দিকে অধিক দৃষ্টি দিতে পারেন; কিন্তু যথার্থ সৌন্দর্য ফুটিতে গেলে ইহাদের সমগ্রকে অপেক্ষা করে। এই